ইমাম সাহেব স্বজরে ক্বিরাত পাঠ করুন আর নি:শব্দে সর্ববস্থায় মুকতাদীর করণীয় হলো চুপ থাকা। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. নং ৮৫০
তাছাড়া ইমামের কেরাতই মুক্তাদির জন্য যথেষ্ট- এটি সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন-যুগের ‘আমলে মুতাওয়াতির’ (যুগ পরম্পরায় চলে আসা ব্যাপক ও অনুসৃত কর্মধারা)-এর মাধ্যমে প্রমাণিত। এর বিশুদ্ধতা তাঁদের কাছে ছিল এক স্বীকৃত বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, যায়েদ ইবনে ছাবিত, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. প্রমুখের আমলও এ অনুযায়ীই ছিল। -উমদাতুল ক্বারী ৩/৬৭, ফাতহুল মুলহিম ২০/২, ইলাউস সুনান ৪৩/৪, তাফসীরে তাবারী ৩৭৮/১১, তাফসীর ইবনে কাসীর ১/২৮১
একারণে এই বিষয়ে হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া হলো, যে কোন ধরনের নামাযে মুক্তাদির জন্য যে কোন কিরাত ওয়াজিব নয়। বরং মুক্তাদী চুপ থাকবে। কেউ যদি ইমামমের পিছনে কিরাত পড়ে তাহলে তার নামায আদায় হয়ে গেলেও মাকরূহের সহিত আদায় হবে।
হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা বুরহানুদ্দীন মরগনানী রহ. বলেন, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কিরাত পড়বে না। -শরহ বেদায়াতুল মুবতাদী ১/৫৫
মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা-এর মধ্যে রয়েছে ,
হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম এই দিকে গিয়েছেন যে, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কোন অবস্থায় কিরাত পড়বে না। এমন কি নিরবে কিরাত পড়ার নামাযেও। এবং ইমামের পিছনে কিরাত পড়া মাকরূহে তাহরীমী। -আল মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা ৩৩/৫৩ সূত্র