মাজহাব কথাটির অর্থ হচ্ছে চলার
পথ।ইজতিহাদের সঙ্গে এর ঘণিষ্ঠ
সম্পর্ক রয়েছে।ইসলামী ফিকাহ
শাস্ত্রের পরিভাষায়,কুরআন-সুন্নাহে
যেসব বিধান-আহকাম প্রচ্ছন্ন
রয়েছে,তা চিন্তা-গবেষনার মাধ্যমে
আহরণ করা।যিনি এটি করেন,তাকে
বলা হয় মুজতাহিদ।মুজতাহিদ কুরআন-
সুন্নাহ থেকে যেসব বিধান-আহকাম
আহরণ করেন,সেগুলোই হচ্ছে মাজহাব।
অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহ থেকে
বিধানসমূহ আহরণ করে তার আলোকে
মুজতাহিদগণ যেসব মতামত প্রদান
করেন,তাকেই মাজহাব বলা হয়।
মাজহাব পালনের কথা এই জন্য বলা
হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে
মুজতাহিদ আলেমের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
অধিকাংশ সাধারণ আলেম কুরআনে
কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত
হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল
আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে
নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের
উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে, কোন
আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কী,আরবী
ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই
বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী
কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা
হয়েছে-ইত্যাদি সম্পর্কে বিজ্ঞ হন
না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস
কোনটি দুর্বল হাদীস,কোন হাদীস কি
কারণে দুর্বল,কোন হাদীস কী কারণে
শক্তিশালী,হাদীসের বর্ণনাকারীদের
জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম
অত্যন্ত বিরল। অথচ হাদীসের
বর্ণনাকারী শক্তিশালী না হলে তার
দ্বারা শরয়ী হুকুম প্রমাণিত হয় না।
মুজতাহিদ আলেমগণ এসব বিষয়
বিবেচনা করে রায় দিতে সক্ষম।
সাধারণ আলেমদের সাথে এখানে
তাদের বড় পার্থক্য।আহমাদ ইবন
হাম্বল(র) মুজতাহিদ ফকীহ হবার জন্য
৫ লক্ষ হাদিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান
থাকার কথা বলেছেন।(সূত্র ইমদাদুল
ফাতওয়া ৪/৮৭)
(ফ্রম: মোশাররফ দাদা)