বর্তমানে আহলে হাদিস ও লা মাজহাব এর অনুসারীরা বলে,মাজহাব বলতে কিছু নয়।মাজহাব মানা শিরক। তারা বলে কুরআন হাদিসের বাহিরে কিছু নাই।সব পথ ভ্রষ্ট।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভাই আপনি এই বিসয়ে ভাল মত জানতে চাইলে, বাজারে একটি বই পাওয়া যায়, সেটা পরে দেখেন, আপনার কথার উত্তর পাবেন,আশা করি ইনশাআল্লাহ, বইটার নাম:- মাযহাব কি ও কেন? লেখকের নাম:মুফতি তাকি ওসমানী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নাউজুবিল্লাহ!  

  সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্রমাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয। পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনেপবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকামপবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে ‘আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ বলে। উনাকে ‘তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীন’ ও ‘তাকলীদুদ্ দালায়িলিল আরবায়াহ’ অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।নি¤েœ পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উল্লেখ করে উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম বা বিধি-বিধান আলোচনা করা হলো।

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ২৪اُولئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ قُلْ لَا اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا انْ هُوَ الَّا ذِكْرى لِلْعَالَمِينَ (سورة الانعام الشريف ۹۰ الاية الشريفة)

অর্থ: উনারা এমন ছিলেন, যাঁদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পথ প্রদর্শন করেছিলেন। অতএব আপনিও (এখানে মূলত: উম্মাত উদ্দেশ্য) উনাদের পথ অনুসরণ করুন। অর্থাৎ উম্মতদেরকে বলুন তারা যেন উনাদেরকে অনুসরণ করে। আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। এটি সারা বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ বাণী। (পবিত্র সূরাতুল্ আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৯০)

অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ(৪৮৬)

{اولئك الذين} قصصناهم من النبيين عليهم السلام {هَدَى الله} هداهم الله بالاخلاق الحسنى {فَبِهُدَاهُمُ} فباخلاقهم الحسنى من الصبر والاحتمال والرضا والقناعة وغير ذلك {اقتده قُل} يا محمد صلى الله عليه وسلم لاهل مكة {لاَّ اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ} على التوحيد والقران {اَجْراً} جعلاً {انْ هُوَ} ما هو يعنى القران {الاَّ ذكرى} عظة {لِلْعَالَمِينَ} الجن والانس. (تنوير المقباس من تفسير ابن عباس رضى الله عنهما المتوفى ৬৮ هجرى سورة الانعام الشريف ۹۰ الاية الشريفة جمعه: محمد بن يعقوب الفيروز آبادى الحنفى الماتريدي رحمة الله عليه المتوفى ۸۱۷ هجرى)

,অর্থ: (উনারা এমন ছিলেন,) যে সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিবরণ দিলাম (যাঁদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পথ প্রদর্শন করেছিলেন।) উনাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উত্তম চরিত্র মুবারক হাদিয়া করেছিলেন। (অতএব আপনিও অর্থাৎ এখানে মূলত: উম্মাত উদ্দেশ্য উনাদের পথ অনুসরণ করুন।) উনাদের উত্তম চরিত্রের গুনাবলী যেমন ধৈর্য্য, সহিঞ্চুতা, সন্তুষ্টি, তাক্বদীরের তুষ্টি ইত্যাদীর অনুসরণ করুন।(আপনি বলে দিন,) হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মক্কা শরীফ বাসীদেরকে বলে দিন (আমি তোমাদের কাছে এর জন্য চাই না) পবিত্র তাওহীদ ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনাদের জন্য (কোন প্রতিদান।) কোন পারিতোষিক। (এটি) পবিত্র কুরআন শরীফ (উপদেশবানী) নছীহতবানী (সারা বিশ্ববাসীর জন্য।) জিন জাতী ও মানুষ জাতীর জন্য। (তানবীরুল মাকবাস মিন তাফসীরি ইবনি আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ওয়াফাত মুবারক: ৬৮ হিজরী পবিত্র সূরাতুল্ আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৯০ সংকলনকারী: হযরত মুহাম্মাদ বিন ইয়া’কূব ফীরোজাবাদী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮১৭ হিজরী)(৪৮৭)

{فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِه} اى اقتد واتبع، واذا كان هذا امرا للرسول صلى الله عليه وسلم فامته تبع له فيما يشرعه لهم ويأمرهم به. (تفسير القران العظيم اى تفسير ابن كثير سورة الانعام الشريف ۹۰ الاية الشريفة المؤلف: ابو الفداء اسماعيل بن عمر بن كثير القرشى الدمشقى الشافعى الاشعرى رحمة الله عليه الولادة ۷۰۰ هجرى الوفاة ۷۷۸ هجرى)


অর্থ: অতএব আপনিও (এখানে মূলত: উম্মাত উদ্দেশ্য) উনাদের পথ অনুসরণ করুন। অর্থাৎ ইক্তিদা করুন ও ইত্তিবা করুন। পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যেখানে বাহ্যিকভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে সেখানে বুঝতে হবে, উম্মত উনাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে সম্মানিত শরীয়ত ও আদেশ মুবারক পালন করার জন্য। (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম অর্থাৎ তাফসীরে ইবনুল কাছীর পবিত্র সূরাতুল্ আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৯০ লেখক: হযরত আবুল ফিদা ইসমাঈল বিন উমর বিন কাছীর কুরাশী দামিশকী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত: ৭০০ হিজরী ওয়াফাত: ৭৭৪ হিজরী)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
SindidHasan

Call

মাযহাব অর্থ ও এর হাকীকত না জানার কারণে আপনার মনে উক্ত প্রশ্নটি উদয় হয়েছে। মাযহাব মানা ছাড়া ইসলামী শরীয়ত মানা বর্তমান সময়ে অসম্ভব। মাযহাব মানে পথ। যে পথের গন্তব্য হল কুরআন ও সুন্নাহ।তাছাড়া কুরআন ও হাদীসের সবচে’ বিশুদ্ধ ব্যাখ্যার নাম হল মাযহাবের ইমামদের সংকলিত ফিক্বহে ইসলামী। তাই মাযহাব মানা মানেই কুরআন ও হাদীসেরই বিধান মানা। যারা মুজতাহিদ নয়, তারা মাযহাব অনুসরণ ছাড়া কুরআন ও হাদীসের আলোকে পরিপূর্ণ শরীয়ত মানতেই পারে না। এটি তাদের জন্য অসম্ভব বিষয়। যেমন অজুর ফরজ কতগুলো? অজু ভঙ্গের কারণ কতগুলো? অজু কতগুলো কারণে মাকরূহ হয়? মুস্তাহাব কতগুলো? অজুর সুন্নাত কতগুলো? নামাযের শর্ত কতগুলো? নামাযের ফরজ কতগুলো? নামাযের ওয়াজিব কতটি? নামাযের মুস্তাহাব কতগুলো? নামাযের সুন্নত কতগুলো? কতগুলো কারণে নামায মাকরূহ হয়? কতগুলো কারণে নামাযে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়? কতগুলো কারণে নামায ভেঙ্গে যায়? ইত্যাদি বিষয় আলাদা শিরোনাম আকারে, সুনির্দিষ্ট নাম্বারসহ তথা অজু ফরজ চারটি, নামায ভঙ্গের কারণ ১৯টি ইত্যাদি শিরোনাম ও নাম্বারসহ কুরআন ও হাদীসে বিদ্যমান নেই। তাই একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে শুধু কুরআন ও হাদীসের অনুবাদ পড়েই এসব বিষয়গুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা বের করে সঠিক পদ্ধদিতে ইবাদত করা সম্ভব নয়। তাই এমন সাধারণ মুসলিমের কিভাবে দ্বীন পালন করবে? তাদের জন্য সহজ পথ হল, কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞ খাইরুল কুরুনের যেসব মুজতাহিদগণ কুরআন ও হাদীস ঘেটে এসব বিষয়গুলো বের করে দিয়েছেন, তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা অনুপাতে ইসলামী শরীয়ত অনুসরণ করা। এর নামই হল মাযহাব অনুসরণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ