শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
মাজহাব শব্দের অর্থ – চলার পথ ইসলামি পরিভাষায় পবিত্র আল কোরআন উল কারিম – সুন্নাহ শরিফ উনার প্রদর্শিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসিদ্দিকীন (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম)শোহাদায়ে কেরাম (রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন) ও সতকর্মশীল ব্যক্তিবর্গের মনোনীত পথের নামই হল মাজহাব

ভিন্ন অর্থে এটাই সিরাতে মুস্তাকিম ও সরল পথ । সুতরাং মাজহাব কোন নতুন ধর্মমতবাদ বা কোরআন সুন্নাহ বহির্ভূত ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব মতের নাম নয়বরং মাজহাব হল পবিত্র কোরআন শরিফসুন্নাহ(পবিত্র হাদিস শরিফ)ইজমা ও কেয়াসের  ভিত্তিতে বিভিন্ন ধর্মীয় সমস্যার প্রদত্ত সমাধান যা এ বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ প্রদান করেছেন। মাজহাব হল,কোরআন-সুন্নাহ উনাদের মতে অস্পষ্ট আয়াত শরিফ ও হাদীস শরিফ উনাদের ব্যাখ্যা মাত্র
সুত্র ঃhttp://jalalreza.blogspot.com/2015/02/blog-post_79.html
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাজহাব অর্থ- পথ বা রাস্তা। ইসলামী ফিকাহ
শাস্ত্রের পরিভাষায়, কুরআন-সুন্নাহে
যেসব বিধান-আহকাম প্রচ্ছন্ন
রয়েছে, তা ইজতেহাদ তথা চিন্তা-গবেষনার মাধ্যমে
আহরণ করা। যিনি এটি করেন, তাকে
বলা হয় মুজতাহিদ। মুজতাহিদ কুরআন-
সুন্নাহ থেকে যেসব বিধান-আহকাম
আহরণ করেন, সেগুলোই হচ্ছে মাজহাব।
অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহ থেকে
বিধানসমূহ আহরণ করে তার আলোকে
মুজতাহিদগণ যেসব মতামত প্রদান
করেন, তাকেই মাজহাব বলা হয়।
মাজহাব পালনের কথা এই জন্য বলা
হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে
মুজতাহিদ আলেমের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
অধিকাংশ সাধারণ আলেম কুরআনে
কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত
হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল
আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে
নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের
উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে, কোন
আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কী, আরবী
ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই
বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী
কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা
হয়েছে- ইত্যাদি সম্পর্কে বিজ্ঞ হন
না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস
কোনটি দুর্বল হাদীস, কোন হাদীস কি
কারণে দুর্বল, কোন হাদীস কী কারণে
শক্তিশালী, হাদীসের বর্ণনাকারীদের
জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম
অত্যন্ত বিরল। অথচ হাদীসের
বর্ণনাকারী শক্তিশালী না হলে তার
দ্বারা শরয়ী হুকুম প্রমাণিত হয় না।
মুজতাহিদ আলেমগণ এসব বিষয়
বিবেচনা করে রায় দিতে সক্ষম।
সাধারণ আলেমদের সাথে এখানে
তাদের বড় পার্থক্য। আহমাদ ইবন
হাম্বল(র) মুজতাহিদ ফকীহ হবার জন্য
৫ লক্ষ হাদিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান
থাকার কথা বলেছেন। 

সূত্র: ইমদাদুল ফাতওয়া ৪/৮৭

তাই যিনি মুজতাহিদ হন, তিনি কুরআন হাদিস থেকেই রায় দেন। আর তাঁর গবেষণালব্ধ এসব রায় বা মাসআলাই পরবর্তীতে মাজহাবের আকার ধারণ করেছে। মাজহাব যদিও চারশ হিজরীর পরে হয়েছে, তবুও রায় বা মতভিন্নতা সাহাবাদের মধ্যেও ছিল। একজন এক মাসআলা এক রকমভাবে করেছেন, অন্যজন এই মাসআলাই অন্যভাবে পালন করেছেন। কারণ, একই মাসআলায় কয়েক ধরনের আয়াত হাদিস পাওয়া যায়। 

মোটকথা, মাজহাব যদিও সরাসরি কুরআন হাদিস নয়, তবুও তা কুরআন হাদিসের সার নির্যাস। অর্থাৎ, মাজহাবের উদ্ভব কুরআন হাদিস থেকেই হয়েছে। 

বিস্তারিত জানতে পড়ুন: 

১. মাজহাব ও তাকলীদ কী ও কেন? 

লেখক: মুফতি তাকি উসমানী

২. আপনি কেন মাজহাব মানবেন?

লেখক: মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী

৩. মাজহাব মানব কেন?

লেখক: মুফতি আবদুল্লাহ

ধন্যবাদ! 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ