অনলাইনে টাকা আয়ের অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে সহজ মাধ্যম গুলোর বর্ননা দেওয়া হল

০১। YouTube হতে টাকা উপার্জনঃ অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে YouTube. এখান থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভাল মানের টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। এ জন্য আপনি আপনার মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হন তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলি আপনার ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করেও এ কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন সে বিষয়ে বিভিন্ন টেউটোরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন কারও কোন নকল ভিডিও কপি করে এটি করা যাবে না। এতে করে হিতের বিপরীত হতে পারে। 


০২। ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখেঃ আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। এখন ব্লগ তৈরী করে থেমে থাকলে হবে না। আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে, আপনি সে বিষয় নিয়ে লিখে যান। এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনি প্রথম ২-৩ মাস একটু কষ্ট করতে হবে। তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকবেন না। আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে থাকেন। আপনার বিষয়টি যদি ইউনিক এবং জ্ঞানগর্ভপূর্ণ হয় তাহলে ভিজিটর অবশ্যই আপনার ব্লগে আসবে। এ ক্ষেত্রে সফলতা পেতে আপনাকে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজে নিজেই টাকা উপার্জনের পথ সুঘম করে নিতে পারবেন।


০৩। Freelancing – একজন লেখক হয়েঃ Freelancing হচ্ছে এমন একটি সাইট যেখানে আপনি আপনার লেখা বা আর্টিকেল শেয়ার করে টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন কিংবা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন, তাহলে যদি সে বিষয়ে ভাল মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাহলেই এটা আপনার পক্ষে সম্ভব। আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় তাহলে Freelancing এ আপনার লেখার মূল্য অর্থাৎ টাকা উপার্জনের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকবে। এখান থেকে মাসে লাখ টাকা উপার্জন করে এমন লোকও আছে। এখানে যার যার মেধা অনুসারে তার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।


০৪। Adsense থেকে টাকা উপার্জনঃ Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগটিকে ভাল মানের Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ পদ্ধতীতে আপনার ব্লগে Adsense এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ক্লিক প্রতি ডলার আয় করতে পারবেন। অনেকে বলে Adsense Approv করাটা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বলছি মোটেও কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি মানসম্মত ২৫-৩০ টি ইউনিক কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে Adsense Approv হয়ে যাবে। এখান থেকে আপনি দীর্ঘ দিন যাবত টাকা উপার্জন করে যেতে পারবেন।


০৫। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer): আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন - Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের সাইটে জয়েন করার জন্য। ফলে তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা উপার্জন করবেন।


০৬। EBAY and AMAZON এ আপনার Products বিক্রির মাধ্যমেঃ আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয় তাহলে পন্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভাল দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি ইউটিউব থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

খুব সহজে নিজের YouTube Channel খুলুন মাত্র ৫ মিনিটে!

নিজের YouTube Channel খুলুন মাত্র ৫ মিনিটে!

YouTube নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এ মূহুর্তে ভার্চ্যুয়াল মার্কেটে সব থেকে বড় video streaming site হচ্ছে YouTube। কয়েক মিলিয়ন ভনিয়মিত ভিজিটর নিয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি প্রতি নিয়তই আরও বেশি নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে। শুধু যে বিনোদনের জন্য এই সাইটটি জন প্রিয় হয়ে উঠছে তা নয়; বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অবক্ষয়, অনিয়ম, অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের মতো ঘৃণিত কাজগুলোকে প্রকাশ্যে লোক সম্মুখে এনে রীতিমত একটা নব জাগরণ সৃষ্টি করছে এই YouTube। এমনকি বিজ্ঞানের প্রসারেও এই সাইটটি অন্যান্য মিডিয়া থেকে পিছিয়ে নেই। হরেক রকম লোকের আনাগোনা এখানে। প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব পছন্দ। কেউ আসে বিনোদনের উদ্দেশ্য, কেউ আসে সামাজিক অবক্ষয়ের তথ্য পেতে আবার কেউ বা আসে বিজ্ঞানের প্রসারের উদ্দেশ্যে। ভিজিটরদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে নিজের সংগ্রহের কিছু ভিডিও সবার সামনে তুলে ধরতে। নিজের পছন্দ আর রুচি বোধ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে। আবার কেউ কেউ আবার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও রাখেন। কিন্তু ইচ্ছা হলেও উপায় জানা নেই বলে অনেকে ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে বসে থাকেন। আজ আমি আপনাদের কাছে যে পোষ্টটি তুলে ধরতে যাচ্ছি আশা করি তারপর থেকে আপনাদের আর ভগ্ন মনোরথ নিয়ে বসে থাকতে হবে না।

হ্যা, বন্ধুগণ আজ আমি আপনাদের জানাব কিভাবে আপনি YouTube এ আপনার নিজের Channel খুলবেন। আজ আমি আপনাদের YouTube Channel খোলার সম্পূর্ণ ও সব থেকে সহজ একটা Guide line দেব। আশা করি এরপর থেকে আপনারও আর অন্য কারোর দ্বারস্থ হতে হবে না। এই Guide line মেনে চললে মাত্র ৫ মিনিটে আপনি আপনার নিজের একটি চ্যানেলের মালিক হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন কাজে নামা যাক-

YouTube এ Channel খুলতে হলে সব থেকে আগে আপনাকে এখানে সাইন ইন (Sign in) করতে হবে। আপনার Gmail ID আর একটা password দিয়ে সাইন ইন করুন। সাইন ইন করার পর স্ক্রীন আপনার সামনে আসলে অংশটিতে (My Channel) ক্লিক করুন। আর না হলে সরাসরি পরের ধাপে চলে যান।


এবার আপনার সামনে যে স্ক্রীনটি আসবে তার ডান দিকের কোণায় Profile Picture অপশনে একটি ক্লিক করুন। তারপর YouTube Settings অপশনে ক্লিক করুন


এবার নতুন এই স্ক্রীনটির একেবারে নীচে দেখুন Create a new Channel নামের যে অপশনটি আছে তাতে একটি ক্লিক করুন।


বক্সে আপনার চ্যানেলের নাম দিন। Category তে বাছাই করুন কোন ধরণের চ্যানেল আপনি খুলতে চান। এবার “I agree to Page Term” লেখায় টিক দিয়ে Done প্রেস করুন।


আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এবার আপনাকে Suitable Thumbnail image, Cover ইত্যাদি আর ছোট খাট যা যা দরকার সেগুলো সব ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী করে নিতে হবে। আশা করি নিজের থেকে এই কাজগুলো করতে পারবেন। না পারলে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে অথবা পোষ্টের নীচে কমেন্ট করে বিষয়টি জানান। সব শেষ হয়ে গেলে এবার আপনার ভিডিও Upload করা শুরু করে দিন।

Video Upload করতে হলে প্রথমে Video ট্যাবটি প্রেস করুন। তারপর Upload a Video লেখাটাতে ক্লিক করুন। ব্যস তারপর পছন্দ মতো ভিডিও সিলেক্ট করে আপলোড করে দিন আপনার সদ্য নির্মিত YouTube চ্যানেলে।

ব্যাক্তিগত YouTube Channel খোলার এই প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। কিন্তু উপায় না জানার কারণে অনেকেই এটা খুলতে পারেন না। YouTube Channel থেকে উপার্জন করতে চাইলে বা আপনার চ্যানেলের ভিজিটর বাড়াতে চাইলে এক্সক্লুসিভ সব ভিডিও সংরক্ষণ করুন আর Facebook, Twitter, Google+ প্রভৃতি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আপনার বন্ধু-বান্ধব আর পরিচিত মানুষদের মাঝে আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো শেয়ার করা শুরু করুন। তাদেরও অনুরোধ করুন যাতে তারা এইসব ভিডিও অন্যদের সাথে শেয়ার করে। এভাবে নিত্য নতুন ভিডিও আপলোড করে আর শেয়ার করতে থাকলে আপনার চ্যানেলের ভিজিটর লাখের ঘরও পেরিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!!! 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ