Yakub Ali

Call

এর জন্য শক্ত কোন হাদিস, দলিল পাওয়া

যায়নি, হজরত আয়েশা রাঃ বলেছেন আমি

কখনো রাসূল সঃ সতর দেখিনি, তিনি ও 

আমার সতর দেখেন নি

হাদিস শরিফে এটাও আছে, গোপনাঙ্গ দেখলে

চোখের জোতি কমে যায়।

কিছু কিছু ইসলামি চিন্তাবিদের মতে এটা মাকরূহ, কারণ গোপনাঙ্গ চোষন এর মাধ্যমে স্বামীর লিঙ্গ থেকে স্ত্রীর মুখে বা স্ত্রীর যোনি থেকে স্বামীর মুখে নাপাক তরল যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । অন্যান্য ইসলামি চিন্তাবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন গোপনাঙ্গ চোষন নিষিদ্ধ বলা যায় এমন দলিল কোথাও পাওয়া যায়নি। 

স্বামী অথবা স্ত্রীর গোপনাঙ্গ মানব দেহের অন্য অঙ্গের মতই বিবেচনা করা হয় (যেমন স্তন অথবা ঠোট)। অন্যদিকে মুখ হচ্ছে শরীরের সর্বাপেক্ষা পবিত্র অঙ্গ। তাই ইসলামিক চিন্তাবিদগন সতর্ক করে দিয়েছেন কোন ভাবেই মনি অথবা মজি (প্রাক-মিলন-তরল অথবা বীর্য) যেন মুখের ভিতর না যায়। এ তরল মুখে যাবার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই এই  চোষন ক্রিয়াকে মাকরুহ্ বলেছেন অনেকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গোপনাঙ্গ মুখে নেয়া মানে ওরাল সেক্স করা। ইসলামী শরীয়তে ওরাল সেক্স তথা মৌখিক যৌন লেহন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোন ক্রমেই তাঅনুমোদনযোগ্য নয়। বস্তুত বিবাহের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈধ ও রুচিসম্মত পদ্ধতিতে দৈহিক চাহিদা পূরণ করে নিজের পবিত্রতা রক্ষা করা। এক্ষেত্রে আবিধানিক ও অরুচিকর কোন প্রক্রিয়াই ইসলাম সমর্থন করে না। ওরাল সেক্স মূলত অত্যন্ত ঘৃণিত এবং মারাত্মক যৌনাচারের বহিঃপ্রকাশ। উপরন্তু যে মুখে আল্লাহর কুরআন পাঠ করা হয়, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাম উচ্চারণ করা হয়, সে মুখকে এমন নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত স্থানে ব্যবহার করা একজন মুসলমানের জন্য কি করে বৈধ হতে পারে! অন্যদিকে চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে ওরাল সেক্স করার কারণে জরায়ূর জীবানু জিহ্বায় এবং জিহ্বার জীবানু জরায়ূতে সংক্রমিত হয়ে উভয়েই ক্যান্সারের মত দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব যখন যৌন কামনা জাগ্রত হবে তখন ওরাল সেক্সের মত পশ্চিমা নোংরা পদ্ধতি অনুসরণ না করে স্বাভাবিক উপায়ে সহবার করে উত্তেজনা প্রশমিত করাই হল ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সর্বক্ষেত্রে সুস্থ রুচিবোধ লালন করার তাওফীক দান করুন। (সূত্র: সূরা আহযাব- ২১, সুনানে আবু দাউদ; হা.নং ৪৬০৭, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়াআদিল্লাতুহ ৩/৫৪৬, ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৪২৯, ফাতাওয়া রহীমিয়া ১৩/১৭৮, আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৪৫, আল-ফাতাওয়া আল-মুআসারা ফিল-হায়াতিয যাওজিয়্যা ১/৩৮২)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করা স্বামী- স্ত্রীর গোপনীয়তার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক কোন হস্তক্ষেপ করেন না। তারা নিজেদের শারীরিক সুখের ব্যাপারে কি করবে না করবে সেটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে অস্বাস্থ্যকর যৌনকর্ম ইসলামে নিষিদ্ধ। যেমন পায়ুপথে যৌনমিলনে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির সম্ভাবনা পাওয়া গেছে, ইসলামে অনেক আগে থেকেই নিজের স্ত্রীর সাথেও পায়ুপথে যৌনমিলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া হারাম না হালাল সেটা নিয়ে অনেক মতপার্থক্য আছে। একদল মনে করেন, যে মুখ দিয়ে আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পবিত্র নাম নেওয়া হয় সে মুখ অন্য কোন অপবিত্র স্থানে দেওয়া ঠিক না। আবার আরেক দল মনে করে যৌনমিলনে নিজের জীবনসঙ্গীকে চরম সুখ দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেক নর-নারীর কর্তব্য। এমতাবস্থায় যৌনাঙ্গে মুখ দিয়ে যদি যৌনসুখ বাড়ানো সম্ভব হয় তবে তা নিশ্চয়ই দোষের কিছু হবে না। তাছাড়া যৌনমিলন করলে শুধু মুখ না, মানুষের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গই অপবিত্র হয়ে যায়। ফরজ গোসলের মাধ্যমে সারা দেহের প্রতিটি অঙ্গের পবিত্রতা ফিরে আসে। তবে চর্মরোগজনিত কোন সমস্যা থাকলে যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া থেকে বিরত থাকা-ই ভাল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ