অল্প বয়স বলতে ২০ বছর এর উর্দ্ধে
কিন্তু ৩০ বছর বয়সের পূর্বে বিবাহ করার অনেক
উপকারিতা আছে।
অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সাথে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।
অনেকেই ভাবেন অল্প বয়সে বিয়ে করলে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার এর ক্ষতি হয়, কিন্তু আসলে কি তাই ? বরং পাশে প্রেরণা দেবার একজন মানুষ থাকলেই পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার এর জন্য ভালো হয়। প্রেরণা, ভালবাসা, দায়িত্ব সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে-জীবন সফলতার দিকে অগ্রসর হতে সহায়ক হয় । অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে। এছাড়াও আপনি যখন কারো সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার ও জীবনে প্রতিষ্ঠা পাবার বিরাট অনুপেরণা ও অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।
৩০ বছরের আগে বিয়েতে কিছু স্বাস্থ্যগত সুফলও আছে, জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে।
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ “অস্টিওপরোসিস”হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি।
সুখী দম্পতিদের ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়ার মত অসুখ বিশুক তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয় ।