হক মিয়া যদি তার ভাগের সম্পূর্ণ জমি রেজিস্ট্রি দলীলের মাধ্যমে লতিফ মিয়ার নিকট বিক্রি করে থাকে এবং মিউটেশনে যদি দলিলের সবটুকু জমি টিকে এবং দলিল সঠিক হয় তাহলে ইসলামী আইন এবং দেশীয় আইনেও লতিফ মিয়া সে সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে লতিফ মিয়া যে বারেক মিয়াকে শুধু মৌখিকভাবে এওয়াজ করে সে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন এক্ষেত্রে দেশীয় আইনে বড় ধরণের একটি সমস্যা হয়ে গেছে। কারণ এওয়াজ করলে তা দলীল করা আবশ্যক। এওয়াজের দলীল রেজিস্ট্রি না করলে সে এওয়াজ টিকে না। যদিও ইসলামী আইন অনুসারে এওয়াজ বৈধ হয় এবং এর মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়। এ দুর্বলতার উপর আপনারা সে জমি ক্রয় করে শুধু রেকর্ড করেছেন; দলীল করেন নি। এক্ষেত্রে আপনাদের দুর্বলতা আরো বেশি প্রকট হয়ে গেছে। ইসলামী শরীয়া মতে দখলস্বত্বের মৌখিক ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন হলেও মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়। সে হিসেবে আপনারা এ জমির মালিক হয়ে গেছেন। কিন্তু দেশীয় আইনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এক্ষেত্রে লতিফ মিয়া বা তার ওয়ারিশরা আপনাদের সাথে একটা ঝামেলা করার সুযোগ পাবে। কিন্তু হক সাহেবের ওয়ারিশদের ঝামেলা টিকবে না। কারণ তারা তো দলিল করে দিয়ে গেছে। যদিও তারা রেকর্ড করিয়ে নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের রেকর্ড করে নেয়াটা কোনো ক্রমেই বৈধ হয় নি। এক্ষেত্রে আপনাদের করণীয় হলো, লতিফ মিয়া বা তার ওয়ারিশদের থেকে আপনাদের নামে দলিল করে নেয়া। এ দলিল মূলে যদি মামলা করেন তাহলে হক মিয়ার ওয়ারিশদের রেকর্ড কেটে যাবে। দলিল সবল হলে আপনারা জমি পেয়ে যাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ