আমার ভাবি দীর্ঘ দিন যাবত লিকোরিয়া / সাদাস্রাব সমস্যায় ভুগিতেছেন এই পর্যন্ত অনেক ডাক্তার দেখাই ঔষধ খাওয়াইছি কিন্তু যতদিন ঔষধ খায় ততদিন সামান্য কম থাকে তারপর আবার আগের মতই। ভালো একটা পরামর্শ চাই যাতে লিকোরিয়া /সাদাস্রাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমার গিন্নির সাদাস্রাব ছিল। ডাঃ দেখিয়েও লাভ হয়নি। পরে হামদর্দ  এর ক্যালরিপ ট্যাবলেট দিনে ২ বার ১ মাস খাওয়ানোর পর আর সাদাস্রাব হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয়, বয়সন্ধিকালে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে নিঃসরণ-ও বেশি হয়, যৌন মিলনকালে, যৌন আবেগে, গর্ভাবস্থায়, শরীরের রাসায়নিক সমতা বজায় রাখতে এবং যোনির কোষ গুলোকে সচল রাখতে oestrogen হরমোনের প্রভাবে এটি নিঃসৃত হতে পারে, মেয়ে শিশুর জন্মের প্রথম ৭-১০ দিনের মধ্যে এটি হতে পারে। মায়ের শরীরে যদি অত্যধিক হরমোন থাকে তবেও এটি হতে পারে।, সন্তান ডেলিভারির প্রথম কয়েকদিন-ও সাদা স্রাব বেশি হতে পারে, হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন, অভুলেশন ( ডিম্বাণু নিঃসরণ কালে ) জন্ম বিরতিকরণ পিল ব্যবহার করলে। কাজেই প্রথমে ভয় না পেয়ে দেখুন ও বুঝে নিন আপনার সাদা স্রাব কি অত্যধিক কিনা বা স্বাভাবিক কিনা। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।


০২. রোগ সম্বন্ধীয়ঃ


– মানসিক অশান্তি


– পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির অভাব


– বিভিন্ন ধরনের ক্রিমির সংক্রমণ


– অপরিচ্ছন্নতা এবং কাপড় সঠিক ভাবে না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখলে


– ইনফেকশন – যক্ষা, ছত্রাক (candida)


– জন্ম বিরতিকরণ পিল খাওয়া


– ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ


– পেটের নিম্নভাগের প্রদাহ


– STD (sexually transmitted disease)


বয়ঃসন্ধির আগে এবং স্থায়ী ভাবে মাসিক বন্ধ হবার পরে নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ এ সময় সংক্রমণের আশংকা-ও বেশি থাকে। যদি স্রাবের সাথে রক্ত যায়, অথবা অতিরিক্ত নিঃসরণ হয় কিংবা অতি দুর্গন্ধ হয় তবে তা আশংকাজনক। বাচ্চা হওয়ার পর দুর্গন্ধ যুক্ত নিঃসরণ ( lochia ) এটাই নির্দেশ করে যে , জরায়ু তার গর্ভ ধারণের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি। ছত্রাকের সংক্রমণ হলে সাদা দুধের ছানার মত নিঃসরণ যেতে পারে। পাশাপাশি চুলকানো ভাব থাকলে এটি আরও বেশি ছত্রাকের প্রতি নির্দেশ করে।


চিকিৎসাঃ


– যোনি পথ এবং আশেপাশের পরিবেশ দুটোই পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে সংক্রমণ না হয়।


– নিয়মিত শাক সবজি, ফল মূল ও পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।


– পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম করতে হবে।


– জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির কারণে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বন্ধ রাখতে হবে।


– যৌনাঙ্গের অভ্যন্তরীণ টিউমার থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।


– ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া জনিত হলে সে অনুযায়ী পথ্য সেবন করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।


– কড়া রোদ অথবা ইস্ত্রির মাধ্যমে কাপড় শুকাতে হবে যাতে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।


– যদি যৌন বাহিত হয়ে থাকে তবে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত মিলনে বিরত থাকতে হবে এবং যে কোনো ঔষধ-ই স্বামীকেও ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে।

সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য কলা খুব ভালো। এই ফলটি হজমশক্তির সমস্যাও রোধ করে থাকে।

১। প্রতিদিন দুটো পাকা কলে খেয়ে নিন সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য।

২। কলার মোচার জুস বানিয়ে তার সাথে মিছরি মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই দু’টি নিয়ম পালন করুন।


। মাসিক বা ঋতুচক্রে পরিষ্কার জীবানুমুক্ত (ডেটল বা সেবলন) দিয়ে কিংবা ভালভাবে সাবান দিয়ে পেন্টি বা কাপড় জীবানুমুক্ত করে তা ব্যবহার করতে হবে।


– একশত গ্রাম ঢেড়স নিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন।


– পরিমাণ মতো পানি নিয়ে ঢেড়সগুলো ২০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।


– এই পানীয়টি ৩ ভাগ করে নিন।


– পানীয়টি একটি গ্লাসে পরিমাণ মতো নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এভাবে দিনে ৩ বার পান করুন।


সাদাস্রাব সমস্যা পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি মেনে চলুন।


অথবা হামদর্দের চিকিত্সা সেবা নিতে পারেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ