দুঃখিত ভাই!! প্যানিক ডিজঅর্ডারের ঔষধের নাম জানা থাকলেও সরাসরি সাজেস্ট করা নিষেধ। প্যানিক ডিজঅর্ডার (Panic Disorder): মানুষের দুঃশ্চিন্তা হয় মনে আর তা প্রকাশ পায় শরীরে। আমরা অনেকেই এগুলোকে শারীরিক রোগের লক্ষণ ভেবে ভুল করি। উদ্বেগ জনিত রোগ বা প্যানিক ডিজঅর্ডার সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই এর লক্ষণ গুলো জানা দরকার। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত ডায়াগনষ্টিক এ্যান্ড এস্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল ফর মেন্টাল ডিজঅর্ডার (ডি এস এম-৫) প্যানিক ডিজঅর্ডার নির্ণয়ের জন্য কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে: বার বার অপ্রত্যাশিত ভাবে প্যানিক অ্যাটাক দেখা যায়। প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে কিছু সময়ের জন্য তীব্র ভয় এবং অস্বস্তি তৈরী হয় যা অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেড়ে যায়। এসময়ে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেয়ঃ √ বুক ধড়ফড় করা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি বা হৃদপিন্ডের গতি দ্রুততর হয়। √ ঘাম হওয়া। √ শরীরে কাঁপুনি হওয়া। √ শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করা। √ দম বন্ধ হয়ে আসা। √ বুক ব্যথা বা চাপ লাগা অনুভব করা। √ বমি বমি ভাব বা পেটের মধ্যে যন্ত্রনা/অস্বস্তি বোধ করা। √ চারদিকের সবকিছুই ঘুরতে থাকে, অস্থিরভাব। √ চিন্তা এবং চলাফেরার প্রতি পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ না থাকা অথবা মুর্ছা যাওয়া। √ শীত অথবা গরম অনুভব করা। √ প্যারেস্থিসিয়াস (অবশ বা তীব্র যন্ত্রনা অনুভব করা)। √ ডিরিয়ালাইজেশন (অবাস্তব অনুভূতি) অথবা ডিপার্সোনালাইজেশন (নিজের মধ্যে নেই, নিজের সাথে আলাদা হয়ে থাকে)। √ নিয়ন্ত্রণহীনতার ভয় বা উত্তেজিত হওয়া। √ মৃত্যুভয় ইত্যাদি, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞে শরণাপন্ন হতে হবে।