সাদা স্রাব – হলুদ , সাদা পিচ্ছিল ও আঠালো রঙের নিঃসরণ, যা শুকালে হালকা বাদামি-হলুদ রঙের বর্ণ ধারণ করে। এটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য হতে পারে। নারীর রিপ্রোডাক্টিভ এইজে (১৪-৫০) যোনি দেয়াল পুরু থাকে। যোনিতে এক ধরনের জীবাণু থাকে, যা যোনির জন্য স্বাভাবিক। সেটি যোনি থেকে নিয়মিত খসে পড়া কোষের গ্লাইকোজেন কে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। এটি যোনিতে পিচ্ছিল ভাব আনে। পাশাপাশি এর অম্লতাও ঠিক রাখে। ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে প্রজনন অঙ্গকে নিরাপদ রাখে।
কারণ গুলোঃ
০১. স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয়
- বয়সন্ধিকালে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে নিঃসরণ-ও বেশি হয়
- যৌন মিলনকালে
- যৌন আবেগে
- গর্ভাবস্থায়
- শরীরের রাসায়নিক সমতা বজায় রাখতে এবং যোনির কোষ গুলোকে সচল রাখতে oestrogen হরমোনের প্রভাবে এটি নিঃসৃত হতে পারে
সাদা স্রাব প্রায় সব মেয়েদেরই একটি প্রধান
শারীরিক ও সমস্যা।
যোনিপথে সাদা তরল পদার্থ নির্গত হওয়াকেই ডাক্তারী ভাষায় লিউকোরিয়াবা সাদা স্রাব
বলে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক মেয়েদেরই
ডিম্বনালী, জরাযু ও যোনিপথ থেকে সামান্য
কিছু সাদা স্রাব নিঃসৃত হতে পারে। অতিরিক্ত
সাদাস্রাব মেয়েদের যৌনাঙ্গে ভেজা স্যাত
স্যাতে অনুভুতির সৃষ্টি করে যা দৈনন্দিন
জীবনের স্বাভাবিক উচ্ছ্বাসকে ব্যাহত করে।
সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য কলা খুব ভালো। এই ফলটি হজমশক্তির সমস্যাও রোধ করে থাকে।
১। প্রতিদিন দুটো পাকা কলে খেয়ে নিন সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য।
২। কলার মোচার জুস বানিয়ে তার সাথে মিছরি মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই দু’টি নিয়ম পালন করুন।
। মাসিক বা ঋতুচক্রে পরিষ্কার জীবানুমুক্ত (ডেটল বা সেবলন) দিয়ে কিংবা ভালভাবে সাবান দিয়ে পেন্টি বা কাপড় জীবানুমুক্ত করে তা ব্যবহার করতে হবে।
– একশত গ্রাম ঢেড়স নিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
– পরিমাণ মতো পানি নিয়ে ঢেড়সগুলো ২০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
– এই পানীয়টি ৩ ভাগ করে নিন।
– পানীয়টি একটি গ্লাসে পরিমাণ মতো নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এভাবে দিনে ৩ বার পান করুন।
সাদাস্রাব সমস্যা পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি মেনে চলুন
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঔষধ খেলে সম্পূর্ণ সমাধান হয়ে যায়।