CS, SA, RS চেনার সহজ কোন উপায় আছে কি ?
সি.এস খতিয়ান চেনার উপায়
১। এই খতিয়ান শতভাগ প্রিন্টেড। যদিও সার্টিফাইড পর্চা হস্তলিখিত এবং এই খতিয়ান উপর-নিচ লম্বা-লম্বি থাকে।
২। এই খতিয়ান উভয় পৃষ্ঠা সম্বলিত এবং প্রথম পৃষ্ঠার উপরে 'পরগণা' শব্দটি লেখা আছে। আর অপর পৃষ্ঠায় জমির রকম কলামের পাশেই উত্তর সীমানার মালিকের পরিচয় দেয়া আছে।
৩। এই খতিয়ানে প্রথম পৃষ্ঠায় দু'টি অংশ আছে। উপরের অংশে জমিদারের পরিচয়, জমিদারীর নাম ও তার ষোলআনা অংশ উল্লেখ থাকে এবং নিচের অংশে অধীনস্ত প্রত্যেক প্রজা বা রায়তের স্ব স্ব হিস্যা পৃথকভাবে উল্লেখসহ ষোলআনা মিলানো থাকে।
৪। এই খতিয়ানের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের অংশে সর্বশেষ কলামে জোত মালিকের নাম ও কোন ধরনের তা উল্লেখ থাকে।
এস.এ খতিয়ান চেনার উপায়
১। এই খতিয়ান ডানে-বামে আড়াআড়ি থাকে এবং এক পৃষ্ঠা সম্বলিত। সি.এস এর মত উপর-নিচ লম্বা-লম্বি নয়।
২। এই খতিয়ানের অধিকাংশই হস্তলিখিত। তবে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় প্রিন্টেড পাওয়া যায়।
৩। এই পর্চায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অংশীদারদের ষোলআনা অংশ প্রাপকদের মাঝে পৃথকভাবে লিখে দেয়া হয়নি।
৪। এর সর্বশেষে মন্তব্য কলাম ও তার পাশে রাজস্ব কলাম অবস্থান করে।
৫। এতে উপরে সর্ববামে সাবেক লিখে খতিয়ান নম্বর এবং এর নিচে হাল লিখে খতিয়ান নম্বর লেখা থাকে। আবার কখনো শুধু সাবেক লেখা থাকে।
আর.এস খতিয়ান চেনার উপায়
১। এই খতিয়ান সর্বত্রই প্রিন্টেড পাওয়া যায়।
২। এই খতিয়ানে অংশ কলামে ষোলআনা অংশ মালিকদের নামে আলাদা আলাদা বণ্টন করে দেয়া আছে।
৩। এতে অংশ কলাম ও রাজস্ব কলাম পাশাপাশি অবস্থান করে।
৪। এই খতিয়ান আড়াআড়ি ও উপর-নিচ উভয় প্রকারই পাওয়া যায়। তবে আড়াআড়ি এক পৃষ্ঠা সম্বলিত আর উপর-নিচ দুই পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৫। ১৯৮২ সনের পরের আর.এস খতিয়ানে থানা কথাটির পাশাপাশি 'উপজেলা' শব্দটি লেখা আছে।
(সূত্র: মাওলানা উসমান গনী কৃত ভূমি জরীপ শিখার সহজ উপায়; পৃষ্ঠা ৩০, ৩৬, ৪০)