وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ، الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا آنِيَةُ الْحَوْضِ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ وَكَوَاكِبِهَا أَلاَ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ الْمُصْحِيَةِ آنِيَةُ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهَا لَمْ يَظْمَأْ آخِرَ مَا عَلَيْهِ يَشْخُبُ فِيهِ مِيزَابَانِ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ عَرْضُهُ مِثْلُ طُولِهِ مَا بَيْنَ عَمَّانَ إِلَى أَيْلَةَ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ " .
৫৭৮৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেছি, ইয়া রাসুলাল্লাহ! হাউযের পাত্র (কত) হবে? তিনি বললেন, যার কাবজায় আমার জীবন, তাঁর কসম! সেই হাউযের পাত্র আকাশের নক্ষত্র ও তারকারাজির চেয়েও বেশি, এমন আঁধার রাতে যা মেঘমুক্ত (এবং যাতে চাঁদের আলো নেই) সেগুলো জান্নাতেরই পাত্র। যে ঐ পাত্র থেকে পান করবে, শেষ পর্যন্ত আর পিপাসার্ত হবে না। ঐ হাউযের মধ্যে জান্নাত থেকে প্রবাহিত দুটো নালার সংযোগ রয়েছে। যে ব্যক্তি ঐ হাউয থেকে পান করবে, সে আর পিপাসার্ত হবে না। সেই হাউযের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হবে। সেই হাউযের প্রশস্ততা আম্মান থেকে আয়লার মধ্যবর্তী দুরতের সমান। সেই হাউযের পানি দুধের চেয়ে বেশি সাদা এবং মধুর চেয়েও বেশি মিষ্টি।
২)
আমাদের নবী (ﷺ) এর জন্য হাওয (কাউসার) এর প্রমান এবং হাওযের বিবরণ
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنِّي لَبِعُقْرِ حَوْضِي أَذُودُ النَّاسَ لأَهْلِ الْيَمَنِ أَضْرِبُ بِعَصَاىَ حَتَّى يَرْفَضَّ عَلَيْهِمْ " . فَسُئِلَ عَنْ عَرْضِهِ فَقَالَ " مِنْ مَقَامِي إِلَى عَمَّانَ " . وَسُئِلَ عَنْ شَرَابِهِ فَقَالَ " أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَغُتُّ فِيهِ مِيزَابَانِ يَمُدَّانِهِ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدُهُمَا مِنْ ذَهَبٍ وَالآخَرُ مِنْ وَرِقٍ " . وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ هِشَامٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " أَنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ عُقْرِ الْحَوْضِ " .
৫৭৮৮। আবূ গাসসান মিসমাঈ, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার হাউযের পাড়ে থাকবো। ইয়েমেনবাসীদের জন্য সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেবো। আমি আমার লাঠি দিয়ে হাউযের পানির উপর আঘাত করবো যাতে তাদের উপর প্রবাহিত হয়। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সে হাউযের প্রশস্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ আমার এ স্থান থেকে আম্মানের দূরত্বের সমান। আবার সে হাউযের পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেনঃ দুধের চেয়ে বেশি সাদা ও মধুর চেয়ে বেশি মিষ্টি। জান্নাত থেকে প্রবাহিত দু'টো নালা দিয়ে সে হাউযের মধ্যে পানি আসতে থাকবে। তার একটি (নালা) সোনার এবং অপরটি রূপার।
যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) হিশাম থেকে সাওবান (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শুধু এতটুকু পার্থক্য যে, এ রিওয়ায়াতে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কিয়ামতের দিন হাউযের পাড়ে থাকবো।