Call

পানি পান করার উপকারিতা! • ডাক্তারের পরামর্শ • মানলে উপকার আপনারই হবেঃ ১. সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত। মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভাল। এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না। ২. পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাটা উচিত। সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। ৩. খালি পেটে চা বা কফি খাওয়া ঠিক না। খাবার আগে অবশ্যই কিছু খাওয়া প্রয়োজন। ৪. খাবার যতদূর সম্ভব নিয়মিত খাওয়া উচিত। খিদে না পেলে কখনই খাওয়া উচিত নয়, আবার খুব বেশী বা খুব কম খাওয়াও উচিত নয়। ৫. সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একদিন উপবাস করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। আমাবশ্যা বা পূর্ণিমাতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ৬. খাবার সময় বেশি পানি খাওয়া ঠিক না। খাবার শেষ করার অন্তত ১ ঘন্টা পরে পানি খাওয়া উচিত তবে দিনে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই ভাল। বেশি পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই। ৭. তাড়াতাড়ি বা অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া ঠিক না। খাবার সময় কথা বলা ঠিক না। ৮. খাবার ভালমত চিবিয়ে খাওয়া উচিত। খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়। ৯. দুপুরে খাবার সময় ১২ টা এবং রাতে খাবার সময় ৯ টার আগে হওয়া উচিত। কেননা বেশি রাতে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না, তাই রাতে হালকা খাওয়া উচিত। অধিক রাতে দুধ ছাড়া কিছু খাওয়া ঠিক না। ১০. রাতে খাওয়ার অনন্ত আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ঘুমাতে যওয়া উচিত। ১১. অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর বিশ্রাম না নিয়ে খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি খাবার পর অবশ্যই কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ১২.রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call
উপকারিতা:

মেদ কমায়:

ওজন কমাতে চাইছেন? তাহলে বেশি করে পানি খান। পানি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে বরফ ঠান্ডা পানি খেলে শরীর সেটাকে গরম করার জন্য অতিরিক্ত বেশ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে এবং এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা মেদ কমে।

পানি পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। তাই খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলে পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়া হয় না। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত হয় না।

দূর্বলতা কমায়:

পানি খেলে শারীরিক দূর্বলতা কমে যায় তাৎক্ষণিক ভাবেই। শরীরে পানির অভাব হলে শরীর বেশ দূর্বল অনুভূত হয়। বিশেষ করে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে সব পানি বের হয়ে শরীরকে দূর্বল করে ফেলে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সচল হয় এবং শরীরের ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে যায়।

মানসিক চাপ কমায়:

মস্তিষ্কের ৭০% থেকে ৮০% টিস্যুই পানি দ্বারা পরিপূর্ন। আর তাই যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে তখন মানুষ বিষন্নতায় ভোগে। তাই মনকে সতেজ ও ফুরফুরে রাখতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

মাংসপেশী ভালো রাখে:

পানি মাংসপেশীকে সুগঠিত করে। এছাড়াই মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, টান খাওয়া এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত পানির উপস্থিতি থাকা জরুরি। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত।

অপকারীতা:

১) অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করলে আপনার শরীরের মোট রক্তের ভলিউম বেড়ে যেতে পারে। আর রক্তের ভলিউম বেড়ে গেলে পুরো শরীরেই এর প্রভাব পরবে। বিশেষ করে হার্ট ও ব্লাড ভেসেল এর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে রক্তের এই বাড়তি ভলিউম।

২) আমাদের কিডনি প্রতিদিন একটি ধরাবাধা নিয়মে পানি ফিল্টার করে। অতিরিক্ত পানি খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত চাপের ফলে শরীরের ফিল্টারেশন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে দুটি কিডনিই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকল হয়ে যেতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।

৩) খুব কম সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত পানি পান করে ফেললে রক্তের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা হঠাৎ করে অতিরিক্ত নেমে যায়। কিন্তু কোষের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে রক্ত ও কোষের ইলেক্ট্রোলাইটের মাঝে ভারসাম্য রাখার জন্য রক্তের কিছু পানি কোষে ঢুকে যায় এবং শরীর হঠাৎ করেই ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই প্রভাব মস্তিষ্কের উপরের পড়ে এবং ফলাফল স্বরূপ মাথা ব্যাথা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ