লো প্রেশার বা নিম্নরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিত্সা নেই , উপসর্গ অনুযায়ী চিকতসা করতে হয় I যেমন যাদের পানি শুন্যতার কারণে হয় তাদের কেবমাত্র খাবার স্যালায়িন খেলেই তা চলে যায় , তবে অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী নিম্নরক্তচাপের ক্ষেত্রে অবস্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হয় I তবে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবার স্যালায়িন সবসময়ই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে I এত গেল কি করে প্রতিরোধ করা যায় ,তবে এর সাথে আরো কিছু যোগ করতে যার ফলে তা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় তাহলো - দীর্ঘক্ষণ শুয়া কিংবা বসা থেকে উঠার সময় একবারে না উঠে ধীরে ধীরে উঠুন , বেশি করে পানি পান করুন করুন , পেট বেশিক্ষণ খালি রাখবেননা , খাবার সময় একটি চিমটা লবন ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও দৈনিন্দিন খাবার তালিকায় সবসময় খাবার স্যালায়িন এবং গ্লুকোজ রাখুন I আশা করি এর ফলে অনেকখানি নিম্নরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে I আর বেশি প্রয়োজন হলে তো ডাক্তারের পরামর্শ হওয়া উচিত I আশা করি এর ফলে আপনার নিম্নরক্তচাপ অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে I ভালো থাকবেন ,আপনার দ্রুত সুস্থ কামনা করছি
তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি-
কফি:
স্ট্রং কফি, হট চকোলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন।
লবণ-পানি:
লবণে আছে সোডিয়াম। তা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করতে হবে।
কিশমিশ:
হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিশমিশ। এক-দুই কাপ কিশমিশ সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খেয়ে নিন। এছাড়া পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।
পুদিনা:
ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান। যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেঁটে এতে মধু মিশিয়ে পান করুন।
যষ্টিমধু:
আদিকাল থেকেই যষ্টিমধিু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
বিটের রস:
বিটের রস হাই ও লো প্রেসার- উভয়টির জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। হাইপার টেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।