TarikAziz

Call

পরামর্শ * সারাদিন বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। * গোসলের সময় ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ সাবান ব্যবহার করতে হবে। * নাইলন ও পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক ঘাম শোষণ না করে উল্টো ঘাম আটকে রাখে। তাই সহজেই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড়, যেমন: সুতি ও সিল্কের তৈরি পোশাক পরতে হবে। * ডিওডরেন্ট বা অন্য ঘাম প্রতিরোধক লাগানোর সময় শরীর ঠিকভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। * মসলাযুক্ত খাবার ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। * মাথার ত্বককে ঘাম থেকে রক্ষা করতে ‘ড্রাই’ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। * ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন নিলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর ঘামে বেশি। তাই যতটা সম্ভব এসব পরিহার করতে হবে। * অতিরিক্ত ঘামের জন্য দায়ী বাড়তি ওজন। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। * মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ মানসিক চাপ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার অন্যতম কারণ। * পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। * এছাড়া বুকে ব্যাথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে, সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Masumakonda

Call

ঘাম থেকে মুক্তির ৫টি উপায় দেয়া হলোঃ ১। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই গরমে নিয়মিত আঙুর খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। বেশি ঘামের থেকে রেহাই পেতে পারেন। ২। আলু অনেকটাই ঘাম ঝরা কমিয়ে দেয়। শরীরের যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে পাতলা পাতলা করে আলুর টুকরো রাখুন বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে। শুকিয়ে গেলে তবেই জামাকাপড় পরুন। ৩। নারকেল তেলের মধ্যে কিছুটা কাপূর মিশিয়ে গোসলের পরে গায়ে মাখিয়ে রাখুন। ঘাম বেশি হওয়া জায়গায় লাগাবেন। ঘণ্টা খানেক পরে ধুয়ে নিন। ৪। টমেটোর জুস খেলেও অনেক সময়ে ঘাম কমে। এক গ্লাস টমোটোর জুস খেয়ে দেখতে পারেন। বেশি ঘাম থেকে মুক্তি পাবেন। শরীরও তরতাজা থাকবে। ৫। লেবু থাকুক সঙ্গে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেখানে লেবুর রস লাগাতে পারেন। এতে ঘাম যেমন কমে তেমন ঘামের দুর্গন্ধও দূর হয়। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে, ঘাম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় খুব বেশি ঘাম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। নানা রকম অসুখের কারণেও ঘাম হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ফলের শরবত, গ্লুকোজ, স্যালাইন ইত্যাদি পান করাও বেশ উপকারী। তাছাড়া বাইরের গরম থেকে ঘরে ফিরে ঠাণ্ডা পানি না খেয়ে স্যালাইন বা গ্লুকোজ খান। চা-কফি, ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভালো। গরমের মৌসুমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার গোসল করা যেতে পারে। তবে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নেওয়া যেতে পারে। গরমে বাইরে থেকে ফিরেই অতিরিক্ত ঠাণ্ডা স্থানে বসা, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানীয় পান করা বা গোসল না করার পরামর্শ দেন ডা. কামরুল। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে এসে কিছুটা সময় জিরিয়ে নিতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যথায় ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।” এছাড়া ঘামে ভেজা জামাকাপড় বেশিক্ষন পরে থাকা উচিত নয়। গরমের দিনে হালকা রংয়ের পোশাক বেশি আরামদায়ক। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে পারফিউম ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ঘামাচি থেকে বাঁচতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হাত, পা, মুখ, বগল ঘামাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপারহিডরোসিস বা মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বলা হয়। এটি এমন এক রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত স্নায়ুপদ্ধতির জন্য হয়ে থাকে। এর ফলে আমরা প্রায়ই অনুষ্ঠান, পরীক্ষাসহ কোনও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় খুব সমস্যায় পড়ে থাকি। প্রতিদিনের কাজকর্ম যেমন গাড়ি চালাতে গিয়ে, টাচ-স্ক্রিন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময় বা অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে বেশ বিপত্তি ঘটে। খুব বেশি বডি-স্প্রে দিয়েও কোন লাভ হয়না, বরং তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোন রকম কেমিকেল ব্যবহার না করেও প্রাকৃতিক উপায়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ০১. ভিটামিন বি-১২র অভাবে এই রোগ হয়। তাই ভিটামিন বি-১২ যেসব খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য গ্রহণ করুন। যেমন কলা, ডিম, দুধ, গাজর, টমেটো, সবুজ শাক, মাছ, কাঠ বাদাম ইত্যাদি। ০২. ভিটামিন বি পরিবার যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫যুক্ত খাদ্য। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন। ০৩. বেশি করে পাকা ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন। পাকা পেঁপে, তরমুজ, আম, কামরাঙ্গা, ফুলকপি, গাজর, বরবটি খুব উপকারী। ০৪. শারীরিক দুর্বলতা থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান। ০৫. আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন – এসপারাগাস, ব্রকোলি, টারকি, গরুর মাংস, যকৃত, সাদা পেঁয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ০৬. চায়ের মধ্যকার টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘাম বিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই দেড় লিটার পানির মধ্যে পাঁচটি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে সেটার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। তাছাড়া সবুজ চা পান করুন। এতেও উপকার পাবেন। ০৭. হাতে-পায়ে কোনও ধরনের পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি ঘাম দূর করার পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেবে। ০৮. পান, ক্যাফেইনযুক্ত কফি, ধূমপান প্রভৃতি থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে। ০৯. বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা বারবার ধুয়ে ফেলুন। ১০. শশা লবণ না মেখে খাবেন এতে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং ঘাম কমে যাবে। মেডিসিন ব্যবহার করে ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার মেডিসিন ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ