যোনিতে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে গেলে প্রচুর চুলকানি হবে, কিন্তু যতদূর সম্ভব সহ্য করে যাবেন, জায়গাটিতে নখ দিয়ে আঁচড় দিবেন না। ক্লোট্রাইমাজোল কিংবা মিকোনাজেলে নাইট্রেট নামক ছত্রাকবিরোধী মলম ব্যবহার করতে হবে। চুলকানির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য খেতে হবে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ। সর্বদা স্থানটি শুকনো রাখবেন। আপনার ডায়াবেটিস কিংবা যৌনবাহিত রোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। কোনো কোনো ছত্রাকবিরোধী ওষুধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং তা ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আপনার যাতে পরবর্তী সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ না ঘটতে পারে তার অন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিনঃ- ১। দধি খান: প্রত্যহ এক কাপ দধি খেলে আপনার ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। দধিতে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফাইলাস নামক ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে নিধন করে। ২। ভিটামিন খান: এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি যে কত ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল ছত্রাকের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে পুষ্টিহীনতা এবং বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল ছত্রাকের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে পুষ্টিহীনতা এবং বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন-ই-এর ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। যদি আপনার কোনো ধরনের সংক্রমণের প্রবণতা থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন খেতে হবে। ৩। সুতির অন্তর্বাস পরুন: সুতির প্যান্টি পরার ফলে বেশি পরিমাণ বাতাস ঢুকতে পারবে, ফলে আপনার যৌনাঙ্গ শুকনো থাকবে। আর এতে করে যৌনাঙ্গে ছত্রাক আক্রমণ করতে পারবে না। ৪। প্রয়োজনে প্রতিরোধ মাত্রায় ছত্রাকবিরোধী ওষুধ গ্রহণ করুন: যদি আপনি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে সেই সঙ্গে ছত্রাকবিরোধী ওষুধও গ্রহণ করুন। কেননা, এন্টিবায়েটিক গ্রহণের ফলে আপনার ছত্রাক আক্রমণের হার বেড়ে যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে (সংগ্রহীত)