হাত ও পায়ের তলা ঘামে আমার খুব যা প্রচুর বিরক্তিকর লাগে!
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হাত পায়ের তলা ঘামে বাতাশে আদ্রতা বেশি থাকলে। আপনি পানিতে লেবুর রস ও একটু লবন মিশিয়ে সারাদিন পান করবেন। কিছু প্রাকৃতিক উপায়ঃ

বেকিং সোডা ও বেবি

হাত-পায়ের তালুতে ঘাম হওয়া কমাতে বেকিং সোডা ও বেবি পাউডার বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেকিং সোডার ক্ষারীয় উপাদান তালুর ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে হাত শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বেবি পাউডার দুর্গন্ধ দূর করতে কাজ করে।

টমেটোর রস
টমেটোর রস ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে আর ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার টমেটোর রস পান করুন। এক সপ্তাহ পর খেয়াল করবেন তালুতে ঘাম হওয়া কমে গেছে। সাধারণত খনিজ বা ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে ঘাম বেশি হয়। আর টমেটোতে আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনিসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। তাই নিয়মিত টমেটোর রস পান করলে হাতের তালু থাকবে সতেজ ও শুষ্ক।

জিঙ্ক
জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘাম এবং দুর্গন্ধ রোধ করতে জিঙ্ক বেশ কার্যকার। এক্ষেত্রে সহায়ক খাবার হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শে দিনে ৩০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে পারেন। অথবা প্রতিদিন সকালে জিঙ্ক অক্সাইড পাউডার হাতের তালু ঘষলেও উপকার পাওয়া যাবে। পাশাপাশি কপার সমৃদ্ধ খাবার খেতে ভুললে চলবে না কারণ জিঙ্ক শরীরে কপারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

রোজমেরি
রোজমেরি একটি ভেষজ উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর কার্যকর‌ভাবে প্রভাব ফেলে। আর স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘামের পরিমাণও কম হয়। তাছাড়া রোজমেরি হালকা সেডাটিভ হিসেবেও পরিচিত। সাধারণত উত্তেজিত হলেই ঘাম বেশি হয়। তাই ঘামের সমস্যা কমাতে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

সাধারনত অ্যারোমাথেরাপির তেল, মোমবাতি, শ্যাম্পু ইত্যাদি পণ্যে রোজমেরি ব্যবহার করা হয়। রোজমেরি ইসেনশল অয়েল সঙ্গে রাখতে পারেন, হাত-পা ঘামা শুরু হলেই এই তেলের গন্ধ নিন, কাজে দেবে। (বড় সুপারশপগুলোতে এটি পেতে পারেন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

গরমে বা খাটাখাটনিতে শরীরে ঘাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত ব্যায়াম, গরম আবহাওয়া, ভয় বা রাগের কারণে শরীর ঘামার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, স্থূলতা, শরীরে পুষ্টির অভাবসহ নানান কারণে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, জ্বর, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, মেনোপজ ও লিউকোমিয়া ইত্যাদি কারণেও শরীর বেশি ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম শরীরের বিভিন্ন জায়গা যেমন হাতের তালু, পায়ের নিচে, বগল, গলা, কপাল, এমনকি মাথার ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া এটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে ও ঘামের দুর্গন্ধ বাড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। কয়েকটি পরামর্শ: * সারাদিন বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। * গোসলের সময় ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ সাবান ব্যবহার করতে হবে। * নাইলন ও পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক ঘাম শোষণ না করে উল্টো ঘাম আটকে রাখে। তাই সহজেই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড়, যেমন: সুতি ও সিল্কের তৈরি পোশাক পরতে হবে। * ডিওডরেন্ট বা অন্য ঘাম প্রতিরোধক লাগানোর সময় শরীর ঠিকভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। * মসলাযুক্ত খাবার ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। * মাথার ত্বককে ঘাম থেকে রক্ষা করতে ‘ড্রাই’ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। * ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন নিলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর ঘামে বেশি। তাই যতটা সম্ভব এসব পরিহার করতে হবে। * অতিরিক্ত ঘামের জন্য দায়ী বাড়তি ওজন। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। * মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ মানসিক চাপ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার অন্যতম কারণ। * পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। * এছাড়া বুকে ব্যাথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে, সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হাত-পা ঘামার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শারীরিক কিছু সমস্যা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে। চিকিৎসা সঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ