ShiponChy

Call

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বনাম লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ১. হাই এনার্জি ডেনসিটি। ২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক কম। প্রস্তুতকারকদের মতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সংরক্ষণ করার জন্য ৪০% চার্জ ও ১৫°সে তাপমাত্রা উত্তম। সিমাবদ্ধতা ১. নিরাপদ মাত্রায় চার্জিং এর জন্য সুরক্ষা সার্কিট প্রয়োজন। ২.ঠান্ডা তাপমাত্রায় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। ৩.ব্যবহার না করলেও লাইফ টাইম অল্প অল্প কমে। ৪. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৫. যে কোন আকৃতি দেওয়ার সুযোগ কম। ৬. অপেক্ষাকৃত ভারি। ৭. ওভার হিটিং প্রব্লেম লিথিয়াম আয়নে বেশি। লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিতে তরল ইলেক্ট্রোডের (বিদ্যুদ্বাহক/তড়িৎদ্বার) পরিবর্তে শুষ্ক ও কঠিন পলিমার ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ইলেক্ট্রোড দেখতে অনেকটা প্লাস্টিক ফিল্মের মত, এটা বিদ্যুত পরিবহণ করে না কিন্তু আয়ন এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে(বৈদ্যুতিক চার্জে চার্জিত একগুচ্ছ পরমাণু)। যার ফলে হালকা, পাতলা, ফ্লেক্সিবল এবং বিভিন্ন আকৃতির ব্যাটারি তৈরি সম্ভব। ১. কোন তরল ইলেক্ট্রোড নেই, তাই ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২. বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৩. যেকোন আকৃতিতে তৈরি করা যায়। ৪. কম পুরুত্বের ব্যাটারি তৈরি করা যায়, যেমন: ৩.৬ ভোল্ট, ৪০০মিলি অ্যাম্পিয়ার/আওয়ারের ব্যাটারির পুরুত্ব ০.৫মি.মি. করা সম্ভব। ৫. সমআয়তন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চেয়ে ওজনে হালকা। ৬. কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই এক বছরের অধিক সময় অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেওয়া যায়। সিমাবদ্ধতা ১. লিথিয়াম আয়নের চেয়ে লিথিয়াম পলিমারের এনার্জী ক্যাপাসিটি কম। ২. উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক বেশি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মধ্যে তুলনা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল। অপারেটিং তাপমাত্রা: -২০°সে. থেকে ৬০°সে.। প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২। ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)। ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট। রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই। চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে। চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়। লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি কেমিক্যাল রিএকশান: ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভরশীল। অপারেটিং তাপমাত্রা: নিন্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় তুলনা মূলক বেশি কর্মক্ষম। প্রাথমিক ভোল্টেজ: ৩.৬ এবং ৭.২। ক্যাপাসিটি: পরিবর্তনশীল (নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারির চেয়ে দ্বিগুণ)। ডিসচার্জ রেট: ফ্ল্যাট। রিচার্জ লাইফ: ৩০০-৪০০ বার কোন ক্ষয় ছাড়াই। চার্জিং তাপমাত্রা: ০°সে থেকে ৬০°সে। চার্জ স্টোরেজ লাইফ: প্রতি মাসে ০.১% এর চেয়ে কম নষ্ট হয়। শেষ কথা: লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি হচ্ছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির একটি সংস্করণ। এর চার্জ ধারন ক্ষমতা এবং চার্জ ক্ষয় এর হার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির প্রায় সমান। এর আসল পার্থক্য হচ্ছে, এটি ওজনে হালকা, আকারে ছোট, বিভিন্ন আকৃতির এবং সামান্য বেশি দীর্ঘ জীবন সম্পন্ন। সুতরাং ফোনের ব্যাটারি যাই হোক না কেন মন খারাপ করার কোন কারন নেই। কারণ চার্জ ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে একই ক্যাপাসিটির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির মাঝে দৃশ্যত তেমন কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ