manik

Call

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ব কম্পানি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। তবে এই বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিদেশ থেকে আসা কলের দাম প্রতি মিনিট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট করা হয়েছে। এতে দুই দিনের ব্যবধানে বিটিসিএলের কলের পরিমান এক কোটি মিনিট কমে গেছে। এরফলে সরকারের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কল রেট বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, আমাকে অন্ধকারে রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা আমাকে না জানিয়ে কিভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবো। তবে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফখরুউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কল রেট বাড়ানো হয়েছে। বিটিসিএল শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। এতে প্রতিদিন বিদেশ থেকে আসা কল সংখ্যায় কি ধরণের তারতম্য হচ্ছে তাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৩০ নভেম্বর বিটিসিএল-এর পরিচালনা পর্ষদের সভায় আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল রেট ১ দশমিক ৫ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে কম্পানিরগুলোর ফোরাম আইওএফের কল রেটের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আপাততঃ বিটিসিএল কল টার্মিনেশন রেট ১ দশমিক ৫ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট করা হল। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনায় কল রেট আবারো পরিবর্তন করা হবে। পহেলা ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর করা হয়। বিটিসিএল সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনই বিটিসিএল-এর গেটওয়ের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মিনিট কল আসতো। পহেলা ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত রেট কার্যকর হওয়ার পর বিকেল থেকেই কলের সংখ্যা কমতে থাকে। বৃহস্পতিবার কল সংখ্যা প্রায় ১ কোটি মিনিটে নেমে আসে। কল রেট বাড়ানোতে বিটিসিএল প্রতি কলে দশমিক ৫ সেন্ট করে বেশী পেলেও কল সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ায় বিটিসিএলকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ