শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও তাজা ফল খাওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ যেসব খাদ্যবস্তুতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে, সেসকল খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ সহায়ক। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যাদের নিয়মিত ব্যবহারে এই সমস্যা চিরতরে দূর করা সম্ভব। তাই এই সমস্যা দূরীকরণে কিছু ঘরোয়া উপাদানের বর্ণনা নিচে দেয়া হল, 
ইসবগুলঃ হাস্কজাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উপাদান, ইসবগুল। এটি যেমন সহজে পাওয়া যায় তেমনি অনেকেই এর সাথে পরিচিত। বিশেষ করে গরমের সময় ইসবগুল দারুণ প্রচলিত। এটি একদিকে সাশ্রয়ী, আবার অন্যদিকে আর নেই কোনো পার্শ্চপ্রতিক্রিয়া। অথচ রোগ নিরাময়ে এর রয়েছে যাদুকরি গুণ। ইসবগুল ডালপালাবিহীন এক ধরনের হার্বস। যা আবৃত্ত ছোট নরম লোম দ্বারা। ওষধি উপাদান হিসেবে ইসবগুল ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে দেশে বিদেশে, যেটাকে ইসবগুলের ভূষিও বলা হয়ে থাকে। এতে বিদ্যমান (পর্যাপ্ত পরিমাণে) মিউসিলেজ ও হলোসাইড প্ল্যানটিওসসহ বিভিন্ন ধরনের এমাইনো এসিড। এসব এসিডই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ৫-১০ গ্রাম ইসবগুল বা ভূসি ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে চিনি বা গুড়সহ নিয়মিত খালি পেটে সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যদিও যে সমস্ত রোগীদের শ্বাস কষ্ট কফ থাকে তাদের ইসবগুল না খাওয়াই ভালো। 

বেলঃ- বেল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। বেল কাঁচা-পাকা দুটোই সমান উপকারী। কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগে বেশ কার্যকরী। পাকা বেলের শরবত উপকারের সাথে সাথে বেশ সুস্বাদু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মত মূল্যবান পুষ্টি উপাদান। নানান ঔষধি গুণে ভরা বেল পেটের পীড়া, আমাশয় ও কোষ্ঠবদ্ধতায় অত্যন্ত উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই এ ফলটি ধনী- গরিব সব মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করতে ৩০-৩৫ গ্রাম পাকা বেল ১ গ্লাস পানিতে নিয়ে শরবত তৈরী করে দিনে ২ বার সেবন করতে হবে। এভাবে কমপক্ষে টানা ৫-১০ দিন সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

 বরইঃ দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত এবং কাঁটায় পূর্ণ গাছের ফল বরই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এবং সর্বপ্রকার মাটিতে বরই গাছ জন্মে। একটু ডিম্বাকৃতির বরইকে সচরাচর "কুল" বলা হয়। বাংলাদেশেই রয়েছে এর বিভিন্ন প্রজাতি। বরইয়ের ভিটামিন 'সি' গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ দূর করে। যকৃতের ওপর 

বরইয়ের কর্মতৎপরতা অনেক বেশি। বরই যকৃতের কাজ করার শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন, তাদের অর্শরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। তাই সেক্ষেত্রে মিষ্টি পাকা বরই চটকে খোসা ও বীজ ফেলে অথবা ছেঁকে অল্প পানি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে কোষ্ঠ্যবদ্ধতাও সেরে যায়। 

বুচকি দানাঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, ২ গ্রাম বুচকি দানার চূর্ণ রাতে ঘুমানোর সময় গরম পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। টানা কয়েকদিন সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এর যন্ত্রণা আর কষ্ট মানুষকে নাজেহাল অবস্থায় ফেলে দেয়। অথচ ঘরে বসে সামান্য কিছু উপাদানের মাধ্যমেই এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন, ভেষজ এইসকল উপাদান ব্যবহার করেই দেখুন, দারুণ উপাকার পাওয়া যাবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বেশি করে পানি পান করুন।।আশযুক্ত বা সেলুলোজ জাতীয় খাবার খান।।ফল বেশি খান।।সম্ভবহলে দুই বেলা দুটো করে আপেল খান

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ