আমার স্ত্রীকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি, তার সংসারিক হক সমুহ আমি সম্পূর্ণ পুরন করি, কিন্তু সে আমার হক পূর্ণ করেনা অথ্যাত আমার সাথে মিলন করেনা, আমি যখন অফিসে বের হই তখন তার মুখ হাসিতে জলমল করে, সে স্বভাবিক থাকে, অফিসের অনেক ক্লান্তি আর কষ্ট করে যখন ১০ ঘন্টা পর আমি অফিস থেকে ঘরে আসি তখন তার মুখ খানা দেখলে মনে হবে তার আপনজন কেউ মারা গেছে, তবে স্বভাবিক থাকে, কাউকে বুঝতে দেয়না যে আমার উপস্থিতে সে নাখুশ হয়েছে কিন্তু রাতে ঘুমানোর সময় যখন দরোজায় নক করে দিই তখন তার আসল রুপখানা ভেসে উঠে, সে আমার সাথে রাতে একই বিছানায় থাকেনা, যদিও বাধ্য হয়ে থাকি তথাপি মাঝখানে আমাদের ১৩ মাসের বাচ্চাটি ঘুমানোর জন্য বাধ্য করে যাতে করে তাকে স্পর্শ করতে না পারি, এই দিকে আমি অনেক খাটুনি করে ক্লান্ত একটু তার স্পর্শ পাবো কিংবা ভালবাসা পাবো তা না যদিও তার শরীর স্পর্শ করার জন্য হাত বাড়াই তখন তার হাত দিয়ে এমনভাবে আমার হাত খানা সরিয়ে যেন কত বছরের দুষমনি ছিল, আমার মনে হয় আর এক রাত এই ভাবে থাকলে আমি মারাই যাবো, যা হোক এক আমার মনে তো কিছুতেই মানে না যে আমার পাশে একজন সুন্দরী রমনী স্ত্রী পাশে শুয়ে থাকবে আর একা একা এপাশ ওপাশ সেক্সের কারনে ছটপট করি এমনকি সারা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর সকাল উপস্থিত হওয়ার যে কষ্ট তা কিভাবে একজন পুরুষ হিসেবে মেনে নিবো? তারপর আবার আগের মতো অফিসে যেতে বাধ্য থাকি, বলে রাখা ভাল যে তার মন পাওয়ার জন্য আমি তার ও বাচ্চার কাপড় ছোপড় দুয়ে দিই, এমনকি মাঝে মাঝে তার রান্নার কাজেও সহায়তা করে থাকি, গতরাত আমার শেষ রাত ছিল, আমার সেক্স এত বেশি ছিল যে, প্রতিদিন মানসিক নির্যাতনের কারনে আমার মাথা একেবারেই পাগল হয়ে গিয়েছিল, সে যখন আগের মতো আমার হাত দুটো সরিয়ে দিতে চাচ্ছিল তখন আমার পাগলামি শুরু হয়ে যায়, আমি আমার ঘরের আসবাব পত্র ভাঙচুর করতে থাকি, বলতে থাকি তোমাকে যদি আমার হক দিতে পারি আমার হক কেন তুমি দিবেনা ইত্যাদি যে গুলো আমার পাশের ঘরের ভাবী ভাই শুনেছে, আমি উচ্চ শিক্ষিত, তাকেও আমি উচ্চ শিক্ষিত করেছি বিবাহের পর, কিন্তু এইভাবে কাজটা করা কি আমার উচিত হয়েছে? তাছাড়া আমার মনে হয় সে পরকিয়ায় আসক্ত হয়েছে যা আমি তার আচরনে এমনকি মোবাইলে কথা বলার ভঙ্গিমাতে বুঝতে পারছি, বি:দ্র: আমাদের একটি পুত্র সন্তান আছে, এখন আমার প্রশ্ন গুলো হলো ০১। আমি কি সামাজিক ভাবে বিচার চাইতে পারবো যে আমার শারিরিক হক সে দিচ্ছেনা ০২। নাকি আইনের মাধ্যমে বিচার চাইতে পারবো? ০৩। নাকি ডিবোর্স দিলে সব চেয়ে ভাল হবে, যেহেতু সে আমার প্রতি সন্তুষ্ট নয়, ০৪। আমার কোন মানসিক বা যৌন চিকিত্সার প্রয়োজন আছে কিনা? ( আমার শারিরিক কোন অক্ষমতা নেই, আমার সেক্স একটু বেশি)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

আপনার ১ ও ২ নং এর উত্তর হলো না। 

সামাজিক বা প্রশাসনিক আইনে এরুপ বিষয়ে কোনো বিচার নেই। 

৪ নং এর ব্যাপারে উত্তরটা আপনিই জানেন। আপনার কোনো সমস্যা বা অক্ষমতা থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা করাবেন। 


সব শেষে আসি ৩ নং এ---> 

তাকে ডিভোর্স দিন---- 

১. যদি সত্যিই প্রমাণ পান যে তিনি পরকীয়ায় জড়িত, 

২. এতে যদি আপনার সন্তানের অযত্ন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, 

৩. আপনার দ্বিতীয় বিবাহ করতে যদি কোনো প্রবলেম না থাকে। 


আর ডিভোর্স দিবেননা যদি দোষটা আসলেই আপনার নিজেরই হয়।

ডিভোর্সের ব্যাপারে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন,দেখুন তার মতামত কি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
AbdulHalim

Call

সমস্যাটি সত্যিকার অর্থে খুবই কঠিন।পারিবারিক সুখটাই একজন মানুষের কাছে খুবই মূল্যবান।ডিভোর্স দিলে যে সমস্যার সমাধান হবে তা কিন্তু নয়।আপনি আপনার স্ত্রীকে অন্য সব সময় থেকে অনেক বেশি ভালোবাসুন,অভিনয় করে নয় সত্যিকারেই।পূর্বের কোন সুখকর স্মৃতি তাকে মনে করিয়ে দিন।আপনার প্রতি তাকে আগ্রহী করে তুলুন কারন সম্ভবত তিনি পরকীয়ায় জড়িত।আপনার ছুটির দিনে তার পছন্দের কোন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান।অনেক বেশি ভালোবাসা দিন,সকল ক্ষেত্রে আপনিই তার জন্য যথেষ্ট এবং অপরিহার্য এটা তাকে বুঝিয়ে দিন।তাকে বেশি সময় দিন,তার পছন্দের কিছু উপহার দিন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম, একজন সাইকিয়াট্রিক।সম্ভব হলে তার শরনাপন্ন হোন,তিনি আপনাকে খুব ভালো একটা সমাধান দিতে পারবেন,যা টনিক হিসাবে কাজ করবে। আপনার সুন্দর আগামি কামনা করছি,শুভকামনা রইলো

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ