শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আল্লাহ বলেন, ﺃَﻥْ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮْﺍ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻋَﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﻏَﺎﻓِﻠِﻴﻦَ، ﺃَﻭْ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮْﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﺷْﺮَﻙَ ﺁﺑَﺎﺅُﻧَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻞُ ﻭَﻛُﻨَّﺎ ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﻣِّﻦ ﺑَﻌْﺪِﻫِﻢْ ﺃَﻓَﺘُﻬْﻠِﻜُﻨَﺎ ﺑِﻤَﺎ ﻓَﻌَﻞَ ﺍﻟْﻤُﺒْﻄِﻠُﻮﻥَ، ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻧُﻔَﺼِّﻞُ ﺍﻵﻳَﺎﺕِ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺮْﺟِﻌُﻮﻥَ- ‏( ﺍﻷﻋﺮﺍﻑ ১৭২ -১৭৪)- ‘(আমি পৃথিবীতে আবাদ করার আগেভাগে তোমাদের অঙ্গীকার এজন্যেই নিয়েছি) যাতে তোমরা ক্বিয়ামতের দিন একথা বলতে না পার যে, (তাওহীদ ও ইবাদতের) এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না’। ‘অথবা একথা বলতে না পার যে, শিরকের প্রথা তো আমাদের পূর্বে আমাদের বাপ-দাদারা চালু করেছিল। আমরা হ’লাম তাদের পরবর্তী বংশধর। তাহ’লে সেই বাতিলপন্থীরা যে কাজ করেছে, তার জন্য কি আপনি আমাদের ধ্বংস করবেন’? আল্লাহ বলেন, ‘বস্ত্ততঃ এভাবে আমরা (আদিকালে ঘটিত) বিষয়সমূহ সবিস্তারে বর্ণনা করলাম, যাতে তারা (অর্থাৎ অবিশ্বাসীরা আমার পথে) ফিরে আসে’ (আ‘রাফ ১৭২-১৭৪) । উপরোক্ত বর্ণনার আলোকে বুঝা যায় যে, উক্ত প্রতিজ্ঞা ছিল দু’ধরনের। এক- আদিকালে ঘটিত প্রতিজ্ঞা ( ﺍﻟﻤﻴﺜﺎﻕ ﺍﻷﺯﻟﻰ ) এবং দুই- অহীর বিধানের আনুগত্য করার জাগতিক প্রতিজ্ঞা ( ﻭﺍﻟﻤﻴﺜﺎﻕ ﺍﻹﻧﺰﺍﻟﻲ ﺍﻟﺤﺎﻟﻲ ) যা প্রত্যেক নবীর আমলে তার উম্মতগণের উপরে ছিল অপরিহার্য। যাতে মানবজাতি পরবর্তীতে অস্বীকার না করে বসে যে, হে আল্লাহ! আমরাতো তোমাকে চিনিই না। এখন প্রশ্ন হ’তে পারে যে, সৃষ্টির সূচনায় গৃহীত এই প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতির কথা পরবর্তীতে মানুষের ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাহ’লে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি গ্রহণের ফলাফলটা কি? এর জবাব এই যে, আদি পিতা-মাতা আদম-হাওয়ার রক্ত ও মানসিকতার প্রভাব যেমন যুগে-যুগে দেশে-দেশে সকল ভাষা ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সমভাবে পরিদৃষ্ট হয়, তেমনিভাবে সেদিনে গৃহীত তাওহীদের স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতির প্রভাব সকল মানুষের মধ্যেই কমবেশী বিদ্যমান রয়েছে। মানুষের অস্তিত্বই মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার সন্ধান দেয় ও বিপন্ন অবস্থায় তার কাছে আশ্রয় গ্রহণের জন্য তার হৃদয় ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ