সালফদের মাযহাব এই যে, আল্লাহ স্বীয় সত্বায় মাখলুকাতের উপরে আছেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, )فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا( “তোমরা যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ করে থাক, তাহলে বিতর্কিত বিষয়টি আল্লাহ এবং রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি এবং পরকালের প্রতি ঈমান এনে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসাঃ ৫৯) আল্লাহ বলেনঃ )وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللَّهِ( “তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ কর, তার ফায়সালা আল্লাহর নিকটে।” (সূরা শুরাঃ ১০) আল্লাহ আরো বলেনঃ )إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُوْلَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ وَمَنْ يُطِعْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقِيهِ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الْفَائِزُونَ( “মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফায়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। মূলতঃ তারাই সফলকাম। এবং যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে, তারাই কৃতকার্য।” (সূরা নূরঃ ৫১-৫২) আল্লাহ আরো বলেন, )وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمْ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا( “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার অধিকার নেই। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরোধীতা করবে, সে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হবে।” (সূরা আহযাবঃ ৩৬) আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেন, )فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا( “অতএব তোমার পালকর্তার কসম, তারা ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ন্যায়বিচারক বলে মেনে নেয়। অতঃপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা বোধ না করে এবং তা সন্তুষ্ট চিত্তে কবূল করে নেবে।” (সূরা নিসাঃ ৬৫) সুতরাং জানা গেল যে, মতভেদের সময় ঈমানদারের পথ হল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহর দিকে ফেরত যাওয়া এবং তাদের কথা শ্রবণ করা ও আনুগত্য করা। সাথে সাথে আল্লাহ এবং রাসূলের কথার বাইরে অন্য কারও কথা গ্রহণ করার ব্যাপারে নিজের কাছে কোনরূপ স্বাধীনতা না রাখা। এ ছাড়া কেউ ঈমানদার হতে পারবে না। পরিপূর্ণরূপে নিজেকে কুরআন ও সুন্নাহর কাছে সোপর্দ করতে হবে এবং অন্তর থেকে সংকীর্ণতা অবশ্যই দূর হতে হবে। এর বিপরীত করলে আল্লাহর আযাবের সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ বলেন, )وَمَنْ يُشَاقِقْ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا( “হেদায়েতের পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে কেউ রাসূলের বিরোধীতা করবে এবং ঈমানদারদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলবে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা কতই না নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থান।” (সূরা নিসাঃ ১১৫) আল্লাহ তাআ’লা স্বীয় সত্বায় মাখলুকের উপরে থাকার মাসআলাটি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাহর দিকে ফেরানোর পর তা নিয়ে গবেষণাকারী অবশ্যই জানতে পারবে যে, আল্লাহ তাআ’লা স্বসত্বায় সমস্ত মাখলুকাতের উপরে আছেন। বিভিন্ন বাক্যের মাধ্যমে কুরআন ও সুন্নায় এই বিষয়টি অতি সুন্দর ও সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করা হয়েছে। ১) সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ আকাশের উপরে আছেন। আল্লাহ বলেন, )أَمْ أَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ( “তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।” (সূরা মুলকঃ ১৭) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করার হাদীছে বলেনঃ رَبُّنَا اللَّهُ الَّذِي فِي السَّمَاءِ “আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। যিনি আকাশে আছেন।” তিনি আরো বলেন, وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلَّا كَانَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا “ঐ সত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে বিছানায় আসার জন্য ডাক দিলে স্ত্রী যদি বিছানায় যেতে অস্বীকার করে তাহলে যিনি আকাশে আছেন, স্বামী সন্তুষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি অসন্তুষ্ট থাকেন।” ২) আল্লাহ উপরে আছেন, এ কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেনঃ )وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِ( “তিনিই মহা প্রতাপশালী স্বীয় বান্দাদের উপরে আছেন।” (সূরা আনআ’মঃ ১৮) আল্লাহ আরো বলেনঃ )يَخَافُونَ رَبَّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ( “তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে চলে। যিনি তাদের উপরে আছেন।” (সূরা নাহলঃ ৫০) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী, لَمَّا قَضَى اللَّهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِي كِتَابِهِ فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ إِنَّ رَحْمَتِي غَلَبَتْ غَضَبِي “আল্লাহ তাআ’লা যখন সৃষ্টি সমাপ্ত করলেন, তখন তিনি একটি কিতাবে লিখে রাখলেন, নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর জয়লাভ করেছে। কিতাবটি তাঁর নিকটে আরশের উপরে রয়েছে।” ৩) আল্লাহর দিকে বিভিন্ন বিষয় উঠা এবং তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিষ অবতীর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে। উপরের দিকে উঠা সব সময় নীচের দিক থেকেই হয়ে থাকে। এমনিভাবে অবতরণ করা সাধারণত উপরের দিক থেকে নীচের দিকেই হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ )إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ( “তাঁরই দিকে পবিত্র বাক্যসমূহ উঠে থাকে এবং সৎ আমল তাকে উপরের দিকে তুলে নেয়।” (সূরা ফাতিরঃ ১০) আল্লাহ বলেনঃ )تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ( “ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তাআ’লার দিকে উর্ধ্বগামী হয়।” (সূরা মা’আরিজঃ ৪) আল্লাহ বলেনঃ )يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ( “তিনি আকাশে থেকেই জমিনে সকল কর্ম পরিচালনা করেন।” (সূরা সেজদাঃ ৫) আল্লাহর বাণী, )لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ( “এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময় প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” (সূরা ফুচ্ছিলাতঃ ৪২) আল্লাহ বলেনঃ )وَإِنْ أَحَدٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلَامَ اللَّهِ( “আর মুশরেকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তবে তাকে আশ্রয় দেবে যাতে সে যাতে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়।” (সূরা তাওবাঃ ৬) কুরআন) যেহেতু আল্লাহর কালাম এবং তা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে তাই এর দ্বারা আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় সত্বায় উপরে রয়েছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ يَتَنَزَّلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ يَقُولُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ “আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তাআ’লা প্রতিদিন রাত্রের একতৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন কে আছে আমার কাছে দু’আ করবে? আমি তার দু’আ কবূল করব। কে আছে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে প্রদান করবো। কে আছে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে? আমি তাকে ক্ষমা করার জন্য প্রস্তত আছি।” বারা বিন আযিব (রাঃ) এর হাদীছে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বিছানায় শয়নকালে পাঠ করার দু’আ শিক্ষা দিয়েছেন। সেই দু’আর মধ্যে এটাও আছে, آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَإِنْ مُتَّ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ “আমি আপনার অবতারিত কিতাবের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছি। এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। এই দু’আ পাঠ করার পর যদি তুমি মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি ফিতরাতের (ইসলামের) উপর মৃত্যু বরণ করবে।” ৪) আল্লাহ তাআ’লা উপরে হওয়ার গুণে নিজেকে গুণাম্বিত করা। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ )سَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى( “আপনি আপনার সর্বোচ্চ ও সর্বমহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন।” (সূরা আল-আলাঃ ১) আল্লাহ বলেনঃ )وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ( “সেগুলোকে (ভূমন্ডল ও নভমন্ডলকে) সংরক্ষণ করা তাঁকে পরিশ্রান্ত করেনা। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৫) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী, سبحان ربي الأعلى “আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি আমার সুমহান প্রভুর।”
“আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনসারদের মাঝে অগ্রগামী এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তাদের জন্য প্রস্তত রেখেছেন এমন জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত রয়েছে। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান সফলতা।” (সূরা তাওবাঃ ১০০) আল্লাহ আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর রহমত দান করুন। তিনিই মহান দাতা। আল্লাহ তাআ’লা সুউচ্চ আরশের উপরে আছেন বিষয়/প্রশ্নঃ (৩২) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ঈমান লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী
সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যায় না গিয়ে কুরআন হাদীসের কয়েকটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করছি।
* তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। সূরা হাদীদ ৪
* আমি মানুষের গ্রীবস্থিত ধমনি অপেক্ষাও নিকটতর। সূরা ক্বাফ ১৬
* তার কুরসী আকাশ ও পৃথিবী পরিব্যাপ্ত। সূরা বাকারা ২৫৫
* পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন সেদিকই আল্লাহর দিক। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ। সূরা বাকারা ১১৫
* দয়াময় আরশে সমাসীন। সূরা তাহা ৫
* মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী রা. বলেন, আমার একটি বাদী ছিল। সে উহুদ এবং জাওয়ানিয়া এলাকার নিকটে আমার বকরীর পাল চড়াত। একদিন আমি জানতে পারলাম, আমার বকরীর পাল থেকে একটি বকরী নেকড়ে বাঘে নিয়ে গেছে। আমি একজন আদম সন্তান। তাই অন্যদের মত আমিও এ ঘটনায় দুঃখিত হলাম। তবে আমি বাদীকে একটি চড় মারলাম। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে ব্যাপারটি বললাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার এ কাজটিকে বড় অন্যায় হিসেবে দেখলেন। তখন আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল তবে কি আমি তাকে মুক্ত করে দিব না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে আসো। আমি বাদীকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে আসলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কোথায়? বাদিটি বলল, আকাশে। এরপর জিজ্ঞেস করলেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তাকে মুক্ত করে দাও। কারণ সে মুমিন। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১২২৭
আয়াত ও হাদীসগুলোর প্রকৃত ব্যাখ্যা, সমন্বয় এবং সমাধান একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন। যদিও বিভিন্ন গ্রন্থে এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয় কিন্তু সঠিক ব্যাখ্যা একমাত্র আল্লাহই জানেন।