পর্যাপ্ত ঘুমানঃ অতি আবেগগ্রস্ত লোকের সাধারণ সমস্যা হল এরা আবেগকে এতো বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন যে ঘুম কিংবা বিশ্রাম নামক শব্দটা এরা সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে। কিন্তু শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার জন্যও ঘুমের কোন বিকল্প হয়না। তাই যদি আপনার অতি আবেগ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে চান তাহলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান। দেখবেন আপনাকে আবেগ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে এই ঘুমই আপনাকে সাহায্য করবে।
পরিকল্পনা করুনঃ অতি আবেগগ্রস্থ মানুষের আরও একটি সাধারণ সমস্যা হল এরা কোন কিছুই ঠিকমতো করতে পারেনা। গুছিয়ে কোন কাজ করার জন্য সবার আগে যা দরকার তা হল সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে কাজের পরিকল্পনা তৈরি করা। তাই আপনি যদি চান যে আপনার এই অতি আবেগগ্রস্থ স্বভাব থেকে বের হয়ে আসবেন তাহলে কাজের পরিকল্পনা করতে শিখুন। তাড়াহুড়ো করে কোন কাজ করতে গেলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে আর যার ফলে মানসিক স্থিরতা বা স্থৈর্য নষ্ট হয়। আর যদি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে করে কাজের জন্য এগোন তাহলে সফলতার সম্ভাবনা বেড়ে যাই আর মানসিক স্থিরতাও বজায় থাকবে।
ব্যায়াম করুনঃ অতি আবেগগ্রস্থ মানুষেরা নিজের মানসিক স্থিরতা ধরে রাখতে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন আবার মেডিটেশনও করতে পারেন। মেডিটেশনের থেকে ভালো কিছু আর হয়না নিজের মনকে শান্ত স্থির করতে। তাই অতি আবেগগ্রস্ত মানুষ নিজের আবেগ দমিয়ে স্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে ছোট খাটো ব্যায়াম করতে পারেন।
নিজেকে সময় দিনঃ শুধু শুধু নিজের থেকে নিজেকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াবেন না। বরং নিজের মুখোমুখি হোন। নিজের সাথে সময় কাটান। আপনি যদি নিজেকেই না বুঝতে পারেন তাহলে আবেগ জয় করবেন কি করে? নিজের আবেগ জয় করে স্থিরতা আনতে নিজের সাথে সময় কাটানো ভীষণ জরুরী। একবার নিজের সাথে সময় কাটানোর অভ্যাস করে দেখুন দেখবেন অতি আবেগ আর আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে না।
অতি আবেগগ্রস্ততা থেকে বের হয়ে আসতে কোনটা আপনার নিজের আর কোনটা আপনার নয় এটা ভালো করে চিনতে শিখুন। অন্যর জিনিসের প্রতি অধিকারবোধ ফলাতে যাওয়া আবেগগ্রস্থ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তাই যদি আবেগ সরিয়ে মানসিক স্থিরতা চান তাহলে নিজের আর পরের জিনিস সম্পর্কে জানতে শেখা দরকারি।