'অ্যাকটিভ-ম্যাট্রিকস অরগানিক লাইট-ইমিটিং ডায়োড'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো অ্যামোলেড। এতে অর্গানিক বা জৈব পদার্থ ব্যবহার করা হয়। ২০১১ সাল থেকে ব্যবহার শুরু হওয়া এ পর্দায় অসাধারণ রং, হালকা ওজন এবং ব্যাটারির শক্তি সঞ্চয়সহ ওএলইডির অনেক গুণই রয়েছে। খুব দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া এ পর্দাটি উচ্চ দামের বিভিন্ন স্মার্টফোন, মিডিয়া প্লেয়ার, ক্যামেরা, বিশাল পর্দার টিভি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সুবিধা : এই ডিসপ্লেতে এলইডি থেকে কম শক্তির প্রয়োজন পড়ে। ফলে ব্যাটারি খরচ হয় কম। বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চয়ী, দেড় গুণ বেশি লুমিনেন্স (আলোর পরিমাপক), পর্দায় দেখার মান অনেক ভালো, সাড়া দেয় দ্রুত এবং অনেক নমনীয়। এর পর্দা অনেক বেশি সংবেদনশীল। অসুবিধা : সরাসরি সূর্যালোকে এর ডিসপ্লে দেখা কষ্টকর। এর ভেতরের অর্গানিক উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তুলনামূলক কম দীর্ঘস্থায়ী। এ ডিসপ্লে তৈরির খরচ বেশি। নকিয়া এন৮-এর মতো ব্যয়বহুল স্মার্টফোনে এ পর্দা ব্যবহার করা হচ্ছে।
AMOLED Display: AMOLED এর পুরোটি হলো Active Matrix Organic Light Emitting Diode. এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পিক্সেলগুলো নিজ থেকেই আলো তৈরী করতে পারে যার কারনে আপনি সূর্যের আলোতেও কোন সমস্যা ছাড়াই দেখতে পারবেন। OLED স্ক্রীনের মতই এর ডিসপ্লে অনেক উজ্জল,শার্প এবং হালকা। হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোনগুলোতে এই স্ক্রীন এখন অনেক ব্যবহার করা হয়।