'থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে'র সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে 'টিএফটি'। এতে লিকুইড দুটো গ্লাস প্ল্যাটের মাঝে থাকে। অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো। টিএফটি গ্লাসে যতগুলো পিক্সেল প্রদর্শিত হয়, ঠিক ততগুলো ট্রানজিস্টর থাকে। মোবাইল হ্যান্ডসেটের পাশাপাশি টেলিভিশন সেট, কম্পিউটার মনিটরের স্ত্রিন হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এটি। সুুবিধা : টিএফটির তেমন কোনো বাড়তি সুুবিধা নেই। তবে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কম দামি স্মার্টফোন ও সাধারণ ফোনে এসব পর্দা ব্যবহার করা হয়। অসুবিধা : সরাসরি আলো বা সূর্যের আলোতে এই পর্দায় কিছু দেখা যায় না বললেই চলে। বড় আকারের টিএফটি পর্দা মোবাইলের ব্যাটারির অনেক শক্তি নষ্ট করে। এই পর্দার লিকুইড বিষাক্ত, তাই চামড়ার সংস্পর্শে যেন না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। যদি দুর্ঘটনাক্রমে তা শরীরের কোথাও লেগে যায়, অতিসত্বর সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
TFT LCD Display: এটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত স্ক্রীন টাইপ। পুরানো মডেলের মোবাইলগুলো থেকে শুরু করে কম বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। TFT এর পুর্নরুপ হলো Thin Film Transistor Technology. আর LCD এর পুর্নরুপ হলো Liquid Crystal Display. খারাপ কোয়ালিটির TFT LCD ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইলে রঙ ফ্যাকাশে দেখাবে এবং স্ক্রীনের সাইড দিয়ে তাকালে অন্ধকার দেখা যাবে। ভাল কোয়ালিটির স্ক্রীন বেশি উজ্জ্বল হবে আর যেকোন দিক দিয়ে তাকালেই মোটামুটি পরিস্কার দেখা যাবে। সূর্যের আলোতে এই স্ক্রীনে পরিস্কার দেখতে অসুবিধা হয়। এ ধরনের ডিসপ্লেতে ব্যাটারীর খরচ বেশি হয় তবে এটি তৈরী করা যায় অনেক সস্তায়। তাই কম ও মাঝারী দামের সেটের এই ডিসপ্লে বেশি ব্যবহার করা হয়।