পেট্রল, ডিজেল এবং রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) - এই তিন রকম জ্বালানির মধ্য মূল পার্থক্য হল কার্বন চেইন বা কার্বন পরমাণুর সংখ্যায় যার ওপর ওই জ্বালানি থেকে উৎপন্ন হওয়া শক্তির মাত্রা নির্ভর করে। এই তিন রকম জ্বলানির কার্বন চেইনের সংখ্যার তারতম্যের কারণে জ্বালানি পোড়ানোর জন্য ইঞ্জিনের গঠনগত কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হয়। যে জ্বালানির কার্বন চেইনের সংখ্যা যত বেশি, সেটা থেকে শক্তি উৎপন্ন হবে তত বেশি এবং সেই জ্বলানি পোড়ানোর ক্ষমতাও ওই ইঞ্জিনের থাকতে হবে। ডিজেলের কার্বন চেইন সবচেয়ে বেশি, এরপরে আছে পেট্রল। ডিজেল ও পেট্রল ইঞ্জিন একটি কারবুরেটর এর সাহায্যে তরল জ্বালানিকে বাষ্পে রুপান্তরিত করে তাপ, চাপ ও বাইরের অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ব্যবহার করে এবং এই বাষ্পীয় শক্তি এই দু'টি ইঞ্জিন কে শক্তি প্রদান করে। অপরদিকে গ্যাস এবং ডিজেল/পেট্রলের তুলনায় কম কার্বন চেইন ধারণকৃত জ্বালানি (যেমন অকটেন) ব্যবহারকারি ইঞ্জিন এই বাষ্প উৎপন্ন করার কাজটি করে স্পার্ক প্লাগের মাধ্যমে। যেহেতু সবচেয়ে বেশি শক্তি উৎপন্ন হয় ডিজেল ইঞ্জিনে, তাই এর কারবুরেটরে উৎপন্ন হওয়া বাষ্পের চাপ অনেক বেশি থাকে এবং এই বাষ্প ইঞ্জিনের পিষ্টনকে ধাক্কা দিয়ে সচল করার জন্য যে প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করে (cylinder) সেটার আয়তন পেট্রল বা গ্যাস ইঞ্জিনের তুলনায় বেশি থাকতে হয়। ইঞ্জিনের ভর (weight) এর ক্রম করলেও সবার আগে নাম আসবে ডিজেল ইঞ্জিন, এরপর পেট্রল ইঞ্জিন ও গ্যাস ইঞ্জিন। অর্থাৎ, এই তিন রকম ইঞ্জিনের মধ্যে মূল গঠনগত পার্থক্যটা জ্বালানি পোড়ানো ও শক্তি উৎপাদনের মাত্রার মধ্যে নিহিত। ডিজেল/পেট্রল ইঞ্জিনে জ্বলানি পোড়ানোর কাজটি করে কারবুরেটর, আর গ্যাস ইঞ্জিনে সেই কাজটি করে স্পার্ক প্লাগ। ডিজেল আর পেট্রল ইঞ্জিনের গঠনগত পার্থক্য সিলিন্ডারের আয়তনে।