মাযহাব পালন করা আবশ্যক, এই কথা এই জন্য বলা হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ এর বিস্তারিত জ্ঞান সম্পর্কে বর্তমানে খুবই নগণ্য সংখ্যক মানুষের রয়েছে। যারাও আছে তারাও অনেক কিছু বিষয়ে বিজ্ঞ নন যেসব বিষয়ে বিজ্ঞ হওয়া অতীব জরুরী। যেমনঃ
# কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে?
# কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে?
# কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে?
# কোন আয়াত(কুর’আন-হাদীস উভয়ই) কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে?
# কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি?
# আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি?
# এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
আবার সেই সাথে হাদীস শাস্ত্রে নিম্নোক্ত বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।
# হুজুর স. কর্তৃক ত্রিশ পারা কোরআনের ব্যাখ্যায় রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীসের কয়টি হাদীস তিনি জানে?
# কোন হাদীসেরর হুকুম রহিত হয়ে গেছে হাদীসটি সহীহ হলেও এবং কেন?
# কোন হাদীসের হুকুম বহাল আছে?
# কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি দুর্বল হাদীস?
# কোন হাদীস কি কারণে দুর্বল?
# কোনো হাদীস দুর্বল হলে সেটা কোন রাবীর কারণে দুর্বল হয়েছে?
# হাদীসের চেইনে এই দুর্বল রাবীর আসার আগে হাদীসটি কি অবস্থায় ছিল?
# কোন হাদীস কী কারণে শক্তিশালী?
কাজেউ সহজেই বুঝতে পারা যাচ্ছে যে, মাজহাব না মানলে যারা সাধারণ মানুষ, যাদের কোরআন ও সুন্নাহ থেকে চিন্তা গবেষণার মাধ্যমে আহকাম ও বিধান আহরণের যোগ্যতা নেই, তারা কি ভাবে সঠিক নিয়মে ইসলামকে অনুসরণ করেবে?
তাদেরকে ইসলাম সঠিক ভাবে মেনে চলার জন্যই মাজহাব মেনে চলতে হয়।
আর কোন একটি মাযহাবকে মেনে চলা আবশ্যক বলা হয় এই জন্য যে, একাধিক মাযহাব অনুসরণের অনুমোদন থাকলে সবাই নিজের রিপু পূজারী হয়ে যেত। যার যেই বিধান যখন ইচ্ছে পালন করত, যেই বিধান যখন ইচেছ ছেড়ে দিত। আর এর মাধ্যমে মূলত দ্বীন ইসলাম পালন হতনা, বরং নিজের প্রবৃত্তির পূজা হত।