মেহ রোগের লক্ষন হলোঃ
-
উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়।
-
রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া এবং শক্তিহীন ভাব প্রকাশ পাওয়া।
-
দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দেয়।
-
দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়।
-
রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
-
দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
-
আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়।
-
পেনিস বা জননেদ্রীয় দুর্বল হয়ে যায়।
-
প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়।
-
স্মরণশক্তি কমে যায় এবং বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়।
-
ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাবে জ্বালা-পোঁড়া করে।
-
অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা যায়।
-
সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।
-
পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
প্রতিরোধ
প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে কেবল একজন সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখা নিশ্চিতভাবে যার গনোরিয়া নেই। বহুগামিতা পরিত্যাগ ও সঠিক পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিকার বা চিকিৎসা
-
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
-
পুষ্টিকার খাবার গ্রহণ করুন।
-
অবাধ যেীন মিলন পরিহার করুন।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন সেবন করলে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
এছাড়াও বিস্তারিত জানতে সরাসরী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা বিস্ময় থেকে টেলিমেডিসিন সেবা নিন।