রজঃস্রাব (ইংরেজি: Menstruation) হলো উচ্চতর প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী স্তরী- একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা প্রজননের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি মাসে এটি হয় বলে এটিকে বাংলায় সচরাচর মাসিক বলেও অভিহিত করা হয়। প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বস্ফোটন হয় এবং তা ফ্যালোপিয়ন টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে আসে এবং ৩-৪ দিন অবস্থান করে। এ সময় যদি পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে শুক্র না-আসে এবং এই না-আসার কারণে যদি ডিম্ব নিষিক্ত না হয় তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ুগাত্রের অভ্যন্তরতম সরস স্তর (এন্ডমেট্রিয়াম) ভেঙ্গে পড়ে। এই ভগ্ন ঝিল্লি, সঙ্গের শ্লেষ্মা ও এর রক্ত বাহ থেকে উৎপাদিত রক্তপাত সব মিশে তৈরী তরল এবং তার সংগে এর তঞ্চিত এবং অর্ধ-তঞ্চিত মিশ্রণ কয়েক দিন ধরে লাগাতার যোনিপথে নির্গত হয়। এই ক্ষরণই রজঃস্রাব বা রক্তস্রাব বা ঋতুস্রাব। কখনো একে গর্ভস্রাব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। যদি নারী জরায়ুতে অবমুক্ত ডিম্বটি পুরুষের স্খলিত শুক্র দ্বারা নিষিক্ত হয়ে এণ্ডোমেট্রিয়ামে প্রোথিত (ইম্প্ল্যান্টেশন) হয় তবে আর রজঃস্রাব হয় না। তাই মাসিক রজঃস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীর গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রজ:চক্র বা ঋতুচক্র (ইংরেজি: Menstrual cycle) বলতে নারীদেহের ২৮ দিনের একটি পর্যায়ক্রমিক শরীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া বোঝায়। প্রথম শুরু হয় সাধারণত এগারো বা বারো বছর বয়সে এবং তারপর থেকে প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে হয়। এই চক্র আটাশ দিন পর পর বা তার কিঞ্চিৎ আগে বা পরেও হতে পারে। মাসিক রজ:চক্রকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
মেনোস্ট্রুয়াল পর্যায়ঃ এর স্খিতিকাল হলো পাঁচ থেকে সাত দিন বা তিন থেকে চার দিন। এ সময় যোনীপথে রক্তমিশ্রিত রস ক্ষরণ হয়। এতে রক্তের সাথে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ অস্খায়ী স্তরের খসে পড়া কোষ কলা এবং কিছু কিছু গ্ল্যান্ডের রস মিশ্রিত থাকে। এ ছাড়া একধরনের টিপিক্যাল পথ থাকে যা থেকে বোঝা যায় এটি মাসিক ঋতুস্রাবের পথে।
প্রলিফেরাটিভ পর্যায়ঃ এই ফেজ বা সময়ে জরায়ুর অভ্যন্তরে ঝরে যাওয়া কোষ বা কোষের স্তরগুলো ফিমেল হরমোনের প্রভাবে আবার তৈরি হতে শুরু করে।
সিকরেটরি পর্যায়ঃ এই সময় জরায়ু বা মাতৃজঠরের অভ্যন্তরের প্রতিটি গ্রন্থি রস নি:সরণের জন্য একেবারে তৈরি হয়ে থাকে। গ্রন্থি ও তার মধ্যবর্তী স্ট্রমা বা টিস্যুতে রস জমে থাকে। যৌনসঙ্গমের ফলস্বরূপ পুরুষের শুক্রাণু কর্তৃক নারীর ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে সেটি জরায়ুতে ইমপ্ল্যান্ট প্রোথিত হয়। শুরু হয় গর্ভধারণ। যদি নির্দিষ্ট মাসিকের মধ্যে গর্ভধারণ না ঘটে, তাহলেই কেবল পরবর্তী মাসিক রজঃস্রাব শুরু হয়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
নিতম্ব সেক্স হারাম। তবে এর সাথে গর্ভ সঞ্চার হবার কোন সংযোগ নেই। সাদা স্রাব হলে চিকিৎসা শুরু করুন। প্রাথমিক অবস্থায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বলুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে যৌন অঙ্গ...
আপনি যেহেতু কারণটি জানতে চেয়েছেন তাই বলা যায় আপনার স্ত্রীর হরমোনের তারতম্যের কারনে এরুপ হতে পারে। বিবাহের আগে যেহেতু তারা সেক্স করেনি ফলে বিবাহের পর যখন তারা সেক্স করে,বিশেষ করে...
এটা স্বাভাবিক মাসিক স্রাব নয় ৷ হয়তো কোন ইমারজেনসি পিল খেয়েছে বা জন্মবিরতিকরন পিল খাওয়া শুরু করেছে ৷ তাই এমন হচ্ছে ৷ কিন্তু যদি কোন কিছুই না খেয়ে থাকেন তাহলে...
isovent 200mg খাওয়ানোর পর মাসিক হয়েছিলো। তবে এই isovent 200mg খাওয়ার ১ মাস ৫ দিন পর মাসিক হওয়া স্বাভাবিক আর যেহেতু মাসিক ক্লিয়ার হয় নি সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করুন অবশ্যই মাসিক...
প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অপেক্ষা করুন অবশ্যই মাসিক হবে । তবে আপনি ভুল করেছেন দুই বার দুইটি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ায়। এতে মাসিক অনিয়মিত ভাবে হয়,তলপেটে ব্যথা করে। ইত্যাদি...
নিদিষ্ট তারিখে মাসিক না হওয়া বা অতিরিক্ত মাসিক হওয়া কেই অনিয়মিত মাসিক বলে। প্রথমত বলবো আপনার স্ত্রীকে প্রেগনেন্সি স্টিপ দিয়ে টেস্ট করান, ফার্মেসিতে পাবেন 20/50 টাকার মধ্যে। আর সমস্যা হলে...
1 Answers
2643 views
Close ×
ভিডিও কলে পরামর্শ নিতে প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ