রেফারেন্স সহ জানাবেন  জাযাকাল্লাহ 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

উপহার বা হাদিয়া প্রদান ও গ্রহণ উভয়ই সুন্নত। কাউকে উপহার বা হাদিয়া দিয়ে তা আবার ফেরত নিলে এমন কাজ করার কারণে তারা যদি কষ্ট পায়। এ বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক এবং হারাম পর্যায়ের। কোনো প্রকার শর্ত ছাড়া এবং স্বার্থ বিবেচনা না করে, কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে যে দান বা উপঢৌকন প্রদান করা হয়, তা-ই হাদিয়া। এই হাদিয়া বা উপহার অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের সদাকাহ বা অনুদান। হাদিয়া বা উপহার দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। হাদিস শরিফে আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা হাদিয়া বা উপহার দাও, তোমাদের মধ্যে প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হবে। (তিরমিজি)। উপহার কোনো ঋণ বা পাওনা নয় হাদিয়া বা উপহার একটি সুন্নত বিষয়। যখন খুশি তখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণ হাদিয়া বা উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু তা আর ফেরত নেওয়া যায়না। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা তাদের সম্পদ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করে, অতঃপর খোঁটা বা তুলনা দিয়ে এবং কষ্ট দিয়ে তার অনুগমন করে না। তাদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে তাদের বিনিময়, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৬২)। যারা আল্লাহ তাআলার পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে অর্থাৎ দীনের ইলম প্রসারে দান করে, হাজ্জ, জিহাদ, ফকীর, মিসকীন, বিধবা ও ইয়াতীমদের জন্য কিংবা সাহায্যের নিয়্যতে দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অর্থ খরচ করে। মোটকথা এতে ঐ সকল উপকারী উৎস অন্তর্ভুক্ত যা মুসলিমদের কল্যাণে আসে। তাদের উপমা হল কেউ গমের একটি দানা উর্বর জমিতে বপন করল। এ দানা থেকে একটি চারা গাছ উৎপন্ন হল, যাতে গমের সাতটি শীষ এবং প্রত্যেকটি শীষে একশত করে দানা থাকে। অতএব, এর ফল দাঁড়ালো যে, একটি দানা থেকে সাতশত দানা অর্জিত হল। এ মহান ফযীলতের হকদার তারাই হবে যারা দান করার পর খোঁটা দেয় না এবং কষ্টও দেয় না। আর এমন কোন কথা ও কাজ করবে না যার কারণে তারা কষ্ট পায়। এ বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। অনেক বিত্তশালী রয়েছে যারা অভাবীদেরকে সহযোগিতা করে আবার এমন আচরণ করে যার দ্বারা ঐ ব্যক্তি খুব ব্যথিত হয়। আর ঐ বিত্তশালীর প্রভাবের কারণে সে কিছু বলতেও পারে না। কিয়ামাতের দিন তিন শ্রেণির মানুষের সাথে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাদের প্রতি তিনি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। তার মধ্যে এক শ্রেণি হল যারা দান করে খোঁটা দেয়। (সহীহ মুসলিমঃ ১০৬) যারা দান করে খোঁটা দেবে না এবং কষ্টও দেবে না তাদের জন্য আরো ফযীলত হল- তাদের কোন ভয় নেই, কোন দুশ্চিন্তাও নেই। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, খোঁটাদানকারী বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। (মুসলিম)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ