আমি প্রায় এক মাস আগে কুরআন শরীফ ধরে প্রতিজ্ঞা  করেছিলাম  যে,আমি এই কাজ আর করবো না,,কিন্তু নফসের ফেরাবতে পরে সেই প্রতিজ্ঞা ভংজ্ঞ করে ফেলেছি,,,, আমি ইসলামের শরীয়াত এর হুকুম কি তা জানতে চাই।।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরআন শরীফ ধরে কি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা প্রশ্নে উল্লেখ হয়নি। প্রতিজ্ঞা আর কসম এক নয় এজন্য মন্তব্য কররবেন। প্রতিশ্রুতি বা প্রতিজ্ঞা পালন করা মানব জীবনের একটি মহত্তম গুণ। যা পালন করা কঠিনতম সর্বোতকৃষ্ট কাজ। প্রতিশ্রুতি পালন করা যেন ঈমানের একটি অঙ্গ। ইসলাম এসব প্রতিশ্রুতি পালন করার জোরালো তাকিদ প্রদান করেছে। আল্লাহ তাআলা ওয়াদা পালনকারীকে ভালোবাসেন। প্রতিশ্রুতি পালন করা আল্লাহর একটা অন্যতম গুন। আল্লাহ নিজে প্রতিশ্রুতি পালন সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ করেনঃ জেনে রাখ! আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা আল্লাহর-ই। জেনে রাখ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। (সূরা ইউনুসঃ ৫৫) আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেনঃ হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যা কর না তা তোমরা কেন বল? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই অসন্তোষজনক। (সুরা সফঃ ২/৩) জনাব! প্রতিজ্ঞা করার কারণে কাফফারা আদায় করতে হবে না। শুধুমাত্র কসম ও শপথের ক্ষেত্রেই কাফফারা প্রযোজ্য তবুও তা শর্ত সাপেক্ষে। নিম্নে সংক্ষিপ্ত ভাবে তা আলোচনা করা হলো। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু বুঝে সুঝে যে সব শপথ তোমরা কর তার জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। এ পাকড়াও থেকে অব্যাহতির কাফফারা হলোঃ দশ জন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাদ্যদান যা তোমরা তোমাদের স্ত্রী পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান অথবা একজন ক্রীতদাস মুক্তকরণ। আর এগুলো করার যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোযা পালন। এগুলো হল তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ কর। তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করবে। আল্লাহ তার আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য বিষদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। (সুরা মায়েদাঃ ৮৯) কুরআন শরীফ ধরে কি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তার জন্য তওবা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ