যাদু টোনা বিশ্বাস করা যায়। কেননা, মদীনার ইয়াহূদী গোত্র বনু যুরাইকের মিত্র লাবীদ বিন আসাম নামক জনৈক মুনাফিক তার মেয়েকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাথার ছিন্নচুল ও চিরুনীর ছিন্ন দাঁত চুরি করে এনে তাতে জাদু করে এবং মন্ত্র পাঠ করে চুলে ১১টি গিরা দেয়। এর প্রভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কোন কাজ করলে ভুলে যেতেন ও ভাবতেন যে করেননি। অতঃপর ওটা তুলে এনে গিরা খুলে ফেললে আল্লাহর রাসূল সুস্থ হয়ে যান। (সহীহ বুখারীঃ ৫৭৬৫, ৫৭৬৬) এসব থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছেঃ জাদু ক্রিয়া নষ্ট করার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস পাঠ করা। হাদিসে এসেছে, এ সুরাগুলোর চেয়ে বড় রক্ষাকবচ আর নেই। আর আয়াতুল কুরসিও শয়তানকে দূর করার জন্য বড়ই ফলদায়ক। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নাবী (সাঃ) প্রত্যেক রাতে যখন বিছানায় যেতেন তখন দু হাত একত্রিত করে ফুঁ দিতেন, অতঃপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করতেন। তারপর যথাসম্ভব দু হাত দিয়ে শরীর মাসাহ করতেন। তিনি প্রথমে মাথা, মুখমন্ডল ও শরীরের সম্মুখ ভাগ থেকে শুরু করতেন। (সহীহ বুখারীঃ ৫০১৭) সাআদ ইবন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন দিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর দিয়ে নাশতা করবে, সেদিন তাঁর উপর বিষ এবং যাদু কোন কাজ করবে না। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৩৮৩৬ হাদিসের মানঃ সহিহ)।