শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

আল্লাহ তাআলা কোনটি হালাল ও কোনটি হারাম তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যে হারাম পথ বেছে নিবে সে আল্লাহর নির্দেশকে অবজ্ঞা করলো এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলো। উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল উপায় অবলম্বন করতে হবে। যারা হালাল ও হারামের প্রশ্নে সতর্কতা অবলম্বন করে না, তাদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করে বলেন, ‘মানুষের নিকট এমন একটি সময় আসবে, যখন ব্যক্তি কোনো উৎস থেকে সম্পদ আহরণ করছে, তা হালাল না হারাম, সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করবে না।’ [বুখারি : ২০৫৯]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে ওঠে তার জন্য দোযখের আগুনই উত্তম। [সহিহ জামিউস সগির : ৮৬৪৮]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, হে কাব ইবন উজরাহ,যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে উঠে তা জান্নাতে যাবে না। [দারেমি : ২৮১৮] 

অতএব -আমরা এই আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে,হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ মারাত্মক ধরনের গোনাহের কাজ! দুনিয়া ও আখিরাতে এই কাজের অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে৷

এই গোনাহের মুক্তির জন্য সাধারণত (টাকা,পয়সা,ইত্যাদি) কোন কাফফারার উল্লেখ নেই! 

তবে...কাফফারা অর্থ যদি আমরা পরিত্রাণ এর উপায় ধরি!তবে বলা যায় এর কাফফারা হলো "খালেছ অন্তরে তাওবাহ ও সামনে এমন গর্হিত কাজ থেকে পুরোপুরি বিরত থাকা "৷ 

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত রাখুক!(আমিন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হারাম খেলে তার কোন কাফফারা নেই। তবে তার জন্য তওবা করা আবশ্যক। মানুষ হিসেবে আমরা ভুল-ক্রুটির ঊর্ধ্বে নই। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, জেনে না জেনে আমাদের থেকে ভুল আচরণ প্রকাশ পেতেই পারে। আমাদের জীবনে যদি এ জাতীয় ঘটনা ঘটে থাকে। অর্থাৎ আমরা যদি অন্যের কোনো কিছু হারাম উপায়ে ভোগ করে থাকি বিনা অনুমতিতে এবং এ জন্য পরে মালিকের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা না করি তাহলে অবিলম্বে ক্ষমা বা তার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদি মালিক মারা গিয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর যদি তাদের কাউকেই পাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ওই পরিমাণ সম্পদ তাদের নামে সদকা দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে তওবাও করতে হবে, ভবিষ্যতে এ কাজ আর না করার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ