প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর- নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা 'নিসাব পরিমাণ' অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়। সাধারণত নির্ধারিত সীমার অধিক সম্পত্তি হিজরি ১ বছর ধরে থাকলে মোট সম্পত্তির ২.৫ শতাংশ (২.৫%) বা ১/৪০ অংশ বিতরণ করতে হয়।
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বন্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দ্দিষ্ট, এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে যাকাত, ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
১. ফকির, যার কিছুই নেই।
২. মিসকীন, যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
৩. যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী, যার অন্য জীবিকা নেই।
৪. (অমুসলিমদের) মন জয় করার জন্য।
৫. ক্রীতদাস, মুক্তির উদ্দেশ্যে।
৬. ধনী সম্পদশালী ব্যক্তি যার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশী।
৭. (স্বদেশে ধনী হলেও বিদেশে) আল্লাহর পথে জেহাদে রত ব্যক্তি।
৮. মুসাফির, যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত।
হাদিস মতে, এগুলো ফরয সাদকাহের খাত, এবং নফল সাদকাহ এই আট খাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর পরিসর আরো প্রশস্ত। উল্লেখিত খাতসমূহে যাকাত বণ্টন করতে সঠিক পন্থায়।