তওবা করার বেশ কিছু দোওয়া আছে।
আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু, ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। (তিরমিজি, আবু দাউদ)।
‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই। (মুসলিম ও তিরমিজি)।
এছাড়াও আপনি সায়্যেদুল ইস্তিগফার পড়তে পারেন। এটা ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ট দো।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘সায়্যেদুল ইস্তিগফার বা শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার হলো ‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, খলাকতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাতোয়া তু। আউযু বিকা মিন শাররি মা ছনাতু। আবুউ লাকা বি-নিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ বি-জাম্বি, ফাগফির লি, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইল্লা আন্তা।’ অর্থ: হে আল্লাহ! আপনিই আমার প্রভু, আপনি ছাড়া আর কেউ মাবুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি আপনারই বান্দা, এবং আমি যথাসাধ্য আপনার নিকট প্রদত্ত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপর বহাল থাকব। আমি যত মন্দ কাজ করেছি, ওই সবের কুফল থেকে বাঁচার জন্য আপনার আশ্রয় চাই। আমার ওপর আপনার যে অসংখ্য নেয়ামত রয়েছে, তার শোকর গুজারি করি এবং আমার পাপের স্বীকৃতিও প্রদান করি; অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন; গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা আপনি ছাড়া আর কারও নেই।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি দিনে এই ইস্তিগফার পাঠ করবেন, সন্ধ্যার আগে তাঁর মৃত্যু হলে তিনি জান্নাতি; যে ব্যক্তি রাতে এই ইস্তিগফার পাঠ করবেন, সকালের আগে তাঁর মৃত্যু হলে তিনি জান্নাতি।’ (বুখারি)।
প্রথমে দুই রাকাত তওবার নামাজ পড়বে। দোয়া, দরুদ, এস্তেগফার করে নিজের গুনাহখাতার জন্য আল্লাহ্ তা'য়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তওবার জন্য তিনটি শর্তঃ- ১। যা গোনাহ করেছি তার জন্য শরমিন্দা (অনুতপ্ত) হওয়া। ২। গোনাহ করব না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা (ওয়াদা) করতেছি। ৩। যদিও গোনাহ হয়ে যায় বা করে ফেলি, আবারও তওবা করব সে জন্য ওয়াদা করতেছি।