এ্যাজমার করনীয় কি ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
kamrulbd

Call

১. এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকেরই একজন ডাক্তারের চিকিৎসার অধিনে থাকা উচিত।  
২. লক্ষ্য রাখুন কোন বিশেষ খাবার কিংবা কোন বিশেষ ওষুধ আপনাকে হাপানীর আক্রমণের কারণ হয়ে ওঠে কি না। যদি তেমন কোন খাবার বা ওষুধ থেকে থাকে তাহলে সেগুলো পরিহার করুন। 
৩. ধোয়া এবং ধুমপায়ীদের থেকে দূরে থাকুন। যদি আপনি নিজেও ধুমপায়ী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে এই বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। 
৪. যেসব দিনগুলোতে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেশি থাকে কিংবা পরাগরেণু ইত্যাদির সংখ্যা বেশি থাকে সেসব দিনগুলিতে সম্ভব হলে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। 
৫. যতোটা সম্ভব আপনার ঘর-বাড়ি ধুলামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। 
৬. শীতের আবহাওয়ায় আপনার নাক দিয়ে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন, এবং পারলে কোন একটা পরিস্কার পাতলা কাপড় দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন।
৭. তেমন বিছানা-পত্র ব্যবহার করুন যেগুলো কোন এ্যালার্জিক সামগ্রী দিয়ে প্রস্তুত নয়। 
৮. যেসব পশু-পাখির গায়ে লোম কিংবা চুলের আধিক্য রয়েছে সেগুলো পালবেন না। 
৯. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, খুব বেশি নয়, তবে মধ্যম পর্যায়ের শরীর চর্চা। অনেক ডাক্তারই সাঁতাড়ের পরামর্শ দিয়ে থাকেন - যদি না ক্লোরিন আপনাকে কোন অস্বস্তিকর অনুভূতির শিকার না করে। পানি কিংবা আদ্রতা, শ্বাস নেয়াকে সহজসাধ্য করে তোলে। যদি বেশি পরিমাণ কিংবা কষ্ট সাধ্য শরীরচর্চা আপনাকে হাপানীতে আক্রান্ত করে সেক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারকে সে কথা জানান। 
১০. যোগ ব্যায়ামের চেষ্টাও করে দেখতে পারেন - এটাও আপনাকে স্বস্তি দিতে সক্ষম। 
১১. প্রায়শই নিজের হাতগুলোকে পানি দিয়ে পরিস্কার করুন যাতে করে ঠাণ্ডা লাগা কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আপনি আক্রান্ত না হন। এক্ষেত্রে প্রতিবছর ইনফ্লুয়েঞ্জার ইনজেকশান নিলেও উপকৃত হবেন। 
১২. সাধ্যে কুলালে বেডরুমের জন্যে একটা বাতাস-পরিস্কার করার এয়ার-ফিল্টারিং মেশিনও কিনতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১। ধূমপান এবং অন্যান্য সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। ২। রাস্তা ঘাটের অতিরিক্ত ধুলা বালি থেকে বাঁচার জন্য নিরাপত্তা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ৩। সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়তে হবে। ৪। আমাদের ঘরবাড়িতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে চারপাশ স্যাঁতসেঁতে না হয়ে যায়। স্যাঁতসেঁতে ঘরে ছত্রাক জন্ম নেয় এবং ছত্রাকের কারনে অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। ৫। যে বাড়িতে অ্যাজমা রোগী আছে সে বাড়িতে কোন পোষা প্রাণী না রাখাই শ্রেয়। ঘরের মেঝেতে কোন কার্পেটও রাখা যাবে না। ৬। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে শীতকালে এবং বর্ষাকালে এই সমস্যা অধিক হারে দেখা দেয় বলে এই সময়টাতে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ৭। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরণের খাবার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। সেসমস্ত খাবার একটু এড়িয়ে চলাই ভাল হবে। অতীতে দেখা গেছে যে এই সব খাবারগুলো কারো কারো ক্ষেত্রে সমস্যার কারন হয়ে থাকে- ইলিশ মাছ, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, গরুর দুধ, বাদাম, কিছু সবজি যেমন- কচু, বেগুন, পুঁইশাক ইত্যাদি। ৮। যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের হাঁপানি বা অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই উপরিউক্ত বিষয়গুলো তাদেরকে আরও বেশি করে মনে রাখতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। ৯। যারা ইতোমধ্যে এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং বছরে অন্তত চার থেকে ছয় বার একজন চিকিৎসক অথবা অ্যাজমা ট্রেনিং প্রাপ্ত নার্সের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিৎ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ