শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

যে তত্ত্বের সাহায্যে কঠিন পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ধর্ম বর্ণনা করা হয় তাকে ব্যান্ড তত্ত্ব বলা হয়। সকল পদার্থই অসংখ্য ক্ষুদ্র পরমাণু দ্বারা গঠিত। পরমাণুসমূহের কেন্দ্রে থাকে ধণাত্বক চার্জিত নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসকে বেষ্টন করে ঋণাত্ব চার্জিত ইলেকট্রনসমূহ পরিভ্রমন করে। ইলেকট্রনসমূহ নির্দিষ্ট অনুমোদিত কক্ষে ঘর্ণায়মান, এই নির্দিষ্ট কক্ষের শক্তি নির্দিষ্ট থাকে। নিউক্লিয়াসের নিকটবর্তী শক্তিস্তরের ইলেকট্রনসমূহের শক্তি কম এবং সর্ববহিস্থ স্তরের ইলেকট্রনসমূহের শক্তি সবচে বেশী। কোন কক্ষের ইলেকট্রনকে তার পরবর্তি বহিস্থ কক্ষে আনতে হলে উক্ত ইলেকট্রনকে নির্দিষ্ট পরিমান শক্তি সরবরাহ করতে হবে। এই ইলেকট্রনটি যখন আবার পূর্বের কক্ষে ফিরে আসবে তখন গৃহীত শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিবে।প্রতিটি মুক্ত পরমাণুর নির্দিষ্ট শক্তি স্তর থাকে, যেখানে ইলেকট্রনসমূহ থাকতে পারে। শক্তিস্তরগুলির মধ্যবর্তী স্থানে কোন ইলেকট্রন থাকতে পারে না। কিন্তু এই মুক্ত পরমাণুগুলো যখন একত্রে কেলাস গঠন করে তখন ইলেকট্রনসমূহের কক্ষপথ ঐ পরমাণুর নিজস্ব চার্জ দ্বারা এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য পরমাণুর ইলেকট্রন ও নিউক্লিয়াসের চার্জ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একারণে দেখা যায় পরমাণুসমূহের অন্তর্গত ইলেকট্রনসমূহের নিজস্ব কক্ষপথ খুব সামান্য হলেও ভিন্ন ভিন্ন হয়। অর্থাত একই শক্তিস্তরের অন্তর্গত ইলেকট্রনসমূহের কক্ষপথ খুব সামান্য হলেও পার্থক্য হয়। একটি কেলাসে যেহেতু লক্ষ লক্ষ প্রথম স্তর ইলেকট্রন রয়েছে সেহেতু প্রতিটি ইলেকট্রনের সামান্য পার্থক্য বিশিষ্ট কক্ষপথগুলি মিলে একটি এনার্জি ব্যান্ড তৈরী করে। এভাবে অন্যান্য স্তরের ইলেকট্রনসমূহের কক্ষপথগুলি মিলে ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ড তৈরী করে। মোটকথা, একটি নিঃসঙ্গ পরমাণুর সুনির্দিষ্ট শক্তিস্তর থাকে কিন্তু লক্ষ লক্ষ পরমাণু দ্বারা গঠিত কেলাসে শক্তি ব্যান্ড তৈরী হয়। শক্তি ব্যান্ডগুলির মধ্যে শক্তির ব্যবধান কত তার উপর ভিত্তি করে পদার্থকে পরিবাহী, অর্ধপরিবাহী, অপরিবাহী ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ