জিলহজের ১ তারিখ থেকে অর্থাৎ ১০ দিন আগে থেকে যারা কোরবানি করার নিয়ত করে তাদের চুল নখ না কাটার কথা হাদিসে আছে। এই আমলটি করলে আরেকটি কোরবানির সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। আর জিলহজের প্রথম ১০ দিনের অনেক ফযীলত এবং রোযায় অফুরন্ত সওয়াব পাওয়া যায়।তবে রোযা আলাদা একটি স্বতন্ত্র ইবাদাত চুল নখ কাটলে এর কোন ক্ষতি হয় না এবং কোন পাপও হয় না। শুধু চুল নখ না কাটলে যে সওয়াবটুকু পাওয়া যেতো তা পাবেন না,এছাড়া আর কিছু হবে না।
চুল /দাড়ি কাটা,নক কাটা,ইত্যাদি যে বিষয়গুলো আপনি উল্লেখ করলেন তার কোনটাই রোজা ভঙ্গকারী বিষয়ে পরে না৷ রোজা ভঙ্গকারী বিষয়,যেমন--
★সহবাস।★ হস্তমৈথুন।★পানাহার।★যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত৷ ★শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কারণে রক্ত বের করা৷ ★ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা৷ ★মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের রক্ত বের হওয়া৷ ইত্যাদি
আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত আয়াতে রোযা-বিনষ্টকারী বিষয়গুলোর মূলনীতি উল্লেখ করেছেন:
এখন তোমরা নিজ স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন তা (সন্তান) তালাশ কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো সুতা থেকে ভোরের শুভ্র সুতা পরিস্কার ফুটে উঠে...”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭]
এসব বিষয়ে সু-স্পষ্ট হাদীসেরও দলীল আছে৷
সুতরাং --আপনার উল্লেখিত নক,চুল,দাড়ি ইত্যাদি কাটার কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না৷ এবং রোজা অবস্থায় কাটা যাবে৷