শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যা,মহিলারাও কবর জিয়ারত করতে পারবে।ইসলামের প্রথম যুগে কবর জিয়ারত নিষিদ্ধ হলেও পরে কবর জিয়ারত করার অনুমতি দেওয়া হয় সকল নারী-পুরুষের জন্য।আমাদের মহানবী (সাঃ) এর কন্যা হযরত ফাতিমা তার চাচার কবর জিয়ারত করেছিলেন।তবে মসজিদ সংলগ্ন কোন কবর থাকলে তা অন্য কথা।এমতাবস্থায় নারীদের কবর জিয়ারত না করাই উত্তম।নারীদের কবর জিয়ারত না করার আরেকটা কারণ নারীদের মন পুরুষের চাইতে অনেক নরম।তাই তারা কবর জিয়ারত করতে গেলে তাদের প্রিয়জনদের জন্য অনেক বেশী আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে।আর কবর জিয়ারত কোন ফরয বা অত্যাবশ্যক কাজ নয়।ধন্যবাদ।                     

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নারীদের কবর জিয়ারত করতে পারবে কি পারবে না! এই মাসয়ালা নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। নারীদের কবর জিয়ারত প্রসঙ্গে বিপরীতমুখী দুই ধরণের হাদিস পাওয়া যায়। ১। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর জিয়ারতকারী নারীদের ওপর অভিশাপ করেছেন। ২। বর্ণিত হাদিসের বিপরীত বর্ণনা পাওয়া যায় মুস্তাদরাকে হাকিমে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী কন্য হজরত ফাতেমা (রাঃ) প্রতি জুমাবারে তার চাচা হজরত হামজা (রাঃ) এর কবর জিয়ারত করতেন। তিনি সেখানে নামাজ পড়তেন, কান্নাকাটি করতেন। (মুস্তাদরাকে হাকিমঃ ১৩৯৬) কবর জিয়ারত নিয়ে এমন বিপরতমুখী দুই ধরণের হাদিসের সুন্দর ব্যাখা দিয়ে এর সমন্বয় করতে যেয়ে ইমাম তিরমিজি (রহঃ) লিখেছেন, ইসলামি স্কলারদের মতে, যে হাদিসে কবর জিয়ারতকারী নারীদের অভিশাপ করা হয়েছে, ওই হাদিসটি ইসলামের প্রথম যুগের। যখন কবর জিয়ারত ইসলামে নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে যখন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়ে কবর জিয়ারতের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে তখন সে অনুমতি নর- নারী নির্বিশেষে সবার জন্যই দেওয়া হয়েছে। আহমদ ইবন ইউনুস (রহঃ) ইবনে বুরায়দা (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইতিপূর্বে আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর জিয়ারত করবে। কেননা, কবর যিয়ারতের ফলে মৃত্যুর কথা ম্মরণ হয়। (সূনান আবু দাউদ হাদিস নম্বরঃ ৩২২১ হাদিসের মানঃ সহিহ) তাই তো আমরা দ্বিতীয় হাদিসে দেখতে পাচ্ছি, নবী কন্যা হজরত ফাতিমা (রাঃ) প্রতি জুমাবার নিজের চাচার কবর জিয়ারত করতে যেতেন। নবী কন্যার মতো নবী পত্নী হজরত আয়েশা সিদ্দিকাও (রাঃ) কবর জিয়ারত করতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবি মুলাইকা বলেন, একদিন হজরত আয়েশা (রাঃ) কবরস্থান থেকে আসলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কোথা থেকে আসলেন? তিনি বললেন, আমি আমার ভাই আবদুর রহমান ইবনে আবু বকরের কবরের কাছ থেকে আসলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেননি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কবর জিয়ারতের আদেশ করেছিলেন। উক্ত হাদিস এটাই প্রমান করে যে, পুরুষদের মতো নারীরাও কবর জিয়ারত করতে পারবেন। কিন্তু আল্লামা আনোয়ার শাহ (রহঃ) বলেন, সৃষ্টিগত ভাবেই নারীদের মধ্যে ধৈর্য্য কম। তারা কবর দেখে বা মুর্দারের কথা স্মরণ করে কান্না- কাটি, শোকমাতম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে নারীদের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়াটাই অসংখ্য ফেৎনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল কারণে নিষেধাজ্ঞার হুকুমটিই তাদের ক্ষেত্রে বহাল থাকবে। (দারসে তিরমিযী)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ