বিস্তারিত বলুন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

বাইপোলার ডিসঅর্ডার হলো হঠাৎ করে জেগে ওঠা মুডের ফলে যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে 'ম্যানিয়া' বলা হয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা . এম এ. হামিদ বলেছেন ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার এক ধরনের গুরুতর আবেগজনিত মানসিক রোগ যাকে দ্বিপ্রান্তিক মানসিক ব্যাধি বলা যেতে পারে। ‘বাই (Bi) অর্থ হচ্ছে ‘দুই’ আর ‘পোলার (Polar)’ বা পোল হচ্ছে প্রান্ত। এ অসুখের এক প্রান্তে থাকে ‘ডিপ্রেশন’ (Depression) বা বিষণতা এবং অন্য প্রান্তে থাকে ম্যানিয়া (Mania)। ডিপ্রেশনে মনের আবেগের উদ্দীপনা কম থাকে। মনে বিষণতা অনুভব হয়। কোনো কাজ ভালো লাগে না। শরীরে ও মনে অবসাদ অনুভব হয় আর অন্যদিকে ম্যানিয়াতে মনের আবেগের উদ্দীপনা অতিরিক্ত অনুভূত হয়। সব কিছু বেশি বেশি ভালো লাগে। মনে অতিরিক্ত উত্তেজনা কাজ করে ইত্যাদি। একই ব্যক্তির যদি এক সময় ম্যানিয়া (Mania)  আর অন্য সময় ডিপ্রেশন (Depression)  হয় তখন তাকে আমরা বাইপোলার ডিসঅর্ডার  বলে থাকি। এ রোগটা এপিসোডিক (episodic) অর্থাৎ রোগীর জীবদ্দশায় মাঝে মাঝে ম্যানিয়া বা ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে এবং মাঝখানের সময়টা রোগী সম্পূর্ণ ভালো থাকবে’। সুত্র:  দৈনিক স্বাস্থ্য বার্তা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাইপোলার মুড ডিজঅডার একধরনের আবেগের রোগ। এই রোগে আসলে দেখা যায় অল্প সময়ের জন্য ব্যক্তির মন ভালো হয়ে যায়। মন ভালো হওয়ার তেমন কোনো কারণ থাকে না। তাদের মন হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। বিনা কারণেই দেখা যায় তাদের মন খুব উৎফুল্ল। এই উৎফুল্ল ভাবের কারণে তারা হয়তো বেশি বেশি কথা বলছে। বেশি বেশি মিশচে বা বেশি বেশি গল্প করতে চাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে রাতে একেবারেই ঘুম আসছে না। তবে এতে তাদের ক্লান্তিবোধও নেই। আবার মন ভালো হলে অতিরিক্ত সাজগোজ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ঘুরতে মন চায়। এগুলো সমস্যা তৈরি করে। যেমন ধরুন- তার পড়ালেখার প্রতি কোনো মনোযোগ নেই। সামথ্যের অতিরিক্ত হয়তো দান করে ফেলেছে। বাইপোলার মুড ডিজঅডার রোগে আক্রান্ত রোগী প্রায়ই ডাক্তারের কাছে আসেন। সূত্র: এনটিভি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ