অনেকে আল্লাহকে খোদা বলে। কিন্তু আমি শুনেছি আল্লাহর ৯৯ টি নামের মধ্যে খোদা নামটি নেই তাই আল্লাহকে খোদা বললে অর্থ বিকৃতি ঘটবে ও গোনাহ হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

'খোদা' শব্দটি ফারসী, যার অর্থ হলোঃ স্বয়ম্ভু বা যিনি নিজেই সৃষ্ট।  রাসূল(সঃ) আল্লাহর যে ৯৯টি নামের কথা বলেছেন, তার মধ্যে এ ধরনের কোন শব্দ নেই । খোদার ফারসী যে অর্থ তা আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে নেই । এছাড়াও, আল্লাহর যেসব নাম বা সিফাত কোরআন ও হাদীসে উল্লেখ আছে তার অর্থ খোদার অর্থের সাথে মিলে না।  রসুল (সঃ) এ ধরনের কোনো অর্থে আল্লাহ্‌র পরিচয় দেননি ।

'খোদা' শব্দের উৎপত্তি ও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তা দিত্ববাদের আক্বীদা/বিশ্বাস । প্রাচীন পারসিকদের দুজন খোদা ছিল একজন মঙ্গলের, অপরজন অমঙ্গলের । খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদ এবং হিন্দুদের বহুদেববাদ- এসব বাদই ইসলামের একত্ববাদের বিপরীত।  মহান আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম আছে । সেসব নামে তাকে না ডেকে অন্য সব অসংগত বা বেমানান নামে তাকে ডাকা বা নামকরণ করা হলে তাঁর অস্তিত্বের অমর্যাদা করা হয়, ও তার নামের মাহাত্ম্য ক্ষুন্ন করা হয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে বলেনঃ "আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।" (সুরা আরাফ, আয়াত নং ১৮০)

জনাব, তাই মুসলিদের উচিত তাদের ইলাহকে কুরআন ও হাদিস হতে তাঁদের রবের যে সব নাম পাওয়া যায় তাই বলে ডাকা এবং সেটাই উত্তম ও উৎকৃষ্টতর। [সংরক্ষণ করে সামান্য সম্পাদনা করা হয়েছে]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ তাআলাকে ডাকার ক্ষেত্রে ঐ নামই ব্যবহার করা উচিত যা সাধারণত কুরআন-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তবে অন্যান্য ভাষাতে আল্লাহ তাআলার যে নাম রয়েছে সেগুলোও ডাকা যায়। এবং তারও আদাব-সম্মান  বজায় রাখা আবশ্যক।   


সূত্র: সূরা ইসরা, ১১০, ফাতাওয়া আলমগিরী ৬/৪৪৬, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৩/২৯, ফাতাওয়া হক্কানিয়া ১/২৭২, ফাতাওয়া দারুল উলুম করাচী ১/২০৯


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ