ব্যভিচারী পুরুষ-ব্যভিচারীণীকে অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করে না এবং ব্যভিচারিণী নারী, তাকে ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া কেউ বিয়ে করে না, আর মুমিনদের জন্য এটা হারাম করা হয়েছে।
(সূরা আন-নূর ৩)
সাধারণতঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি বিবাহের জন্য নিজের মত ব্যভিচারিণীর দিকেই রুজু করে থাকে। সেই জন্য দেখা যায় অধিকাংশ ব্যভিচারী নারী-পুরুষ তাদেরই অনুরূপ ব্যভিচারী নারী-পুরুষের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করতে পছন্দ করে। আর এ কথা বলার আসল লক্ষ্য হল, মুমিনদেরকে সতর্ক করা যে, যেমন ব্যভিচার একটি জঘন্যতম কর্ম ও মহাপাপ, তেমনি ব্যভিচারী ব্যক্তির সাথে বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক গড়াও অবৈধ।
ব্যভিচারী নারী-পুরুষকে মুমিনদের জন্য বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে। সুতরাং এরূপ জঘন্যতম কাজ করা থেকে সতর্ক থাকতে হবে, সেই সাথে যারা এরূপ কাজ করে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মুল কথাঃ যিনাকারী ছেলের সাথে মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হলে গুনাহ হবে।
তবে সে যদি বিশুদ্ধভাবে তওবা করে নেয়, তাহলে বিবাহ বৈধ। (তাফসীর ইবনে কাসীর)