কয়েক দিন ধরে পেটে মৃদু ব্যথা। বাম সাইডে এর প্রভাব বেশি। কিভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? plz বলবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ৩ টি উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইঃ- ১. আদাঃ পেটের ব্যথা কমাতে আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়। * পেট ব্যথা কমাতে আদা চা পান করতে পারেন। আদা চা বানাতে, এক কাপ গরম পানির মধ্যে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ফুটান। এর মধ্যে সামান্য মধু দিন। এরপর এটিকে পান করুন। এ ছাড়া আদা কুচিও চিবাতে পারেন। ২. হলুদঃ হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি প্রদাহ কমাতে কাজ করে; পরিপাক ভালো করতে সাহায্য করে। • এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানির মধ্যে হলুদ দিয়ে গরম করুন। দিনে দুইবার এটি পান করুন। • এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট দিনে তিনবার খেতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৩. গরম পানির সেঁকঃ দ্রুত পেটের ব্যথা কমাতে গরম পানির সেঁক খুব কার্যকর। এটি পেটের ব্যথা কমাতে ও পেশি শিথিল করতে কাজ করে। • একটি হট ব্যাগে গরম পানি ভরে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। প্রয়োজনে পুনরায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। • এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটিও ব্যথা কমাতে কাজ করবে। তবে গরম পানি সেঁক নেওয়ার সময় একটু সতর্ক থাকুন। না হলে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারণ আমাশয়, ফুড পয়জনিং ও বদহজম থেকে ব্যথা পেটজুড়ে থাকে। বমি বমি ভাব, পেটে শব্দ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পেটে ব্যথা হয়। * দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার সঙ্গে ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি সতর্কসংকেত। অন্ত্রে ক্যানসার বা টিবিরও লক্ষণ এই পেটে ব্যথা। তাই পেটের ব্যথাকে ছোট করে দেখবেন না। পেটে ব্যথা হলে কী করণীয়? যদি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি। হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, বমি হয়েছে কি না, জ্বর আছে কি না—এই বিষয়গুলো সঙ্গে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কেমন হতে পারে পেটে ব্যথার ধরন? * পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপর দিকে মাঝখানে শুরু হয়। এটি খালি পেটে বাড়ে, কখনো চিনচিনে, কখনো জ্বালাপোড়ার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে বমিভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থাকতে পারে। অ্যান্টাসিড বা অন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে বেশ উপশম মেলে। * একই জায়গায় বা একটু বাঁ দিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র, পেছন দিকেও অনুভূত হয়। রোগী ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। সামনে ঝুঁকে থাকলে আরাম মেলে। সঙ্গে বমি থাকতে পারে। * ওপরের পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে পিত্তথলিতে প্রদাহ বা পাথর থাকলে। এই ব্যথাও ডান দিকে পেছন পর্যন্ত ছড়ায়, সঙ্গে বমি হতে পারে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এটি বাড়ে। যকৃতের প্রদাহেও একই জায়গায় ব্যথা হয়। চিনচিন করে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, জন্ডিস, অরুচি ইত্যাদি হেপাটাইটিস বা যকৃতে প্রদাহ নির্দেশ করে। যকৃতে ফোঁড়া হলে এই ব্যথা তীব্র হয়, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। * পেটের ওপরের দিকে ডান অথবা বাঁ কিডনিতে পাথর, প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে সেই পাশে ও পেছনে ব্যথা হয়। এই ব্যথা ক্রমেই নিচে নেমে তলপেটেও ছড়ায়। কিডনির ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র হয়, একটু পরপর ছাড়ে, আবার আসে। সঙ্গে বমি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকতে পারে। * নাভির মাঝখান থেকে ব্যথা যদি ক্রমেই তলপেটের ডান দিকে ছড়িয়ে যায়, সেখানে হাত দিলেই ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়তে থাকে, তাহলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি না, ভাবতে হবে। * তলপেটে ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও জ্বর প্রস্রাবের সংক্রমণ নির্দেশ করে। মেয়েদের জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের নানা সমস্যায় ব্যথা হতে পারে। * সাধারণ আমাশয়, ফুড পয়জনিং ও বদহজম থেকে ব্যথা পেটজুড়ে থাকে। বমি বমি ভাব, পেটে শব্দ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পেটে ব্যথা হয়। * দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার সঙ্গে ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি সতর্কসংকেত। অন্ত্রে ক্যানসার বা টিবিরও লক্ষণ এই পেটে ব্যথা। তাই পেটের ব্যথাকে ছোট করে দেখবেন না। পেটে ব্যথা হলে কী করণীয়? যদি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি। হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, বমি হয়েছে কি না, জ্বর আছে কি না—এই বিষয়গুলো সঙ্গে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যেসব কারণে পেটের বাম পাশে ব্যথা হয়


* ডাইভার্টিকিউলিটিস


আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল সোসাইটি ডাইভার্টিকিউলিটিসকে কোলনের প্রাচীরের পকেট বা ডাইভার্টিকিউলার প্রদাহ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে। ডাক্তার লিগরেস্টি বলেন, ‘পেটের বামপাশের নিম্নভাগে ব্যথার একটি সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে ডাইভার্টিকিউলিটিস এবং তা ক্লাসিক্যালি এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জ্বর, মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, মাঝেমাঝে মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, ঠান্ডা শরীর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়।’ মারাত্মক পরিস্থিতিতে ডাইভার্টিকিউলিটিস রক্তপাত, ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ব্লকেজের দিকে ধাবিত করতে পারে। এটি নির্ণয়ের জন্য শারীরিক পরীক্ষা এবং ইমেজিং টেস্ট প্রয়োজন হবে।


* কোলাইটিস


ডাইভার্টিকিউলিটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যথা প্রায়ক্ষেত্রে হঠাৎ করে আবির্ভুত হলেও কোলাইটিস বা কোলনের প্রদাহের উপসর্গ প্রকাশ পায় অধিক ধীরে ধীরে। ডা. লিগরেস্টি বলেন, ‘এছাড়া কোলাইটিস অন্ত্রের কার্যক্রমের পরিবর্তন যেমন- ডায়রিয়া বা রক্তময় ডায়রিয়া নিয়ে হাজির হয়, যেখানে ডাইভারটিকিউলাইটিসের ক্ষেত্রে সাধারণত তা হয় না।’ ইনফেকশন (যেমন- ফুড পয়জনিং), অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ এবং অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রায়ক্ষেত্রে কোলাইটিস বা মলাশয়ের প্রদাহ হয়ে থাকে। কোলাইটিসের প্রকারভেদও আছে, যেমন- ক্রোন’স ডিজিজ এবং আলসারেটিভ কোলাইটিস।


* গ্যাস্ট্রাইটিস


পাকস্থলীর স্তরে প্রদাহের সঙ্গে গ্যাস্ট্রাইটিস শব্দটি জড়িত। কোনো ইনফেকশন, নিয়মিত ব্যথা উপশমকারী ওষুধ সেবন অথবা অত্যধিক অ্যালকোহল পানের কারণে এ প্রদাহ হতে পারে। গ্যাস্ট্রিটাইটিসের উপসর্গ হঠাৎ করে প্রকাশ পেতে পারে (অ্যাকিউ গ্যাস্ট্রাইটিসের ক্ষেত্রে) অথবা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে পারে (ক্রনিক গ্যাস্ট্রাইটিসের ক্ষেত্রে) এবং কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রাইটিস আলসারের দিকে চালিত করতে পারে। ডা. লিগরেস্টি বলেন, ‘পেটের বাম পাশের উপরিভাগে ব্যথা হওয়ার সর্বাধিক কমন কারণসমূহের দুইটি হচ্ছে- গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসার এবং এ ব্যথা সাধারণ কামড় খাওয়া প্রকৃতির হয়ে থাকে যা রাতে বেড়ে যেতে পারে ও খাওয়ার পর কমে যায়।’ এসব দশার সঙ্গে প্রায়ক্ষেত্রে বমিবমি ভাব ও বমি, ওজন হ্রাস এবং কালো মল সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রাইটিস নির্ণয় করতে পারলে খুব কার্যকরী চিকিৎসা করা যায়।


* শিনগ্লেস


আপনার চিকেনপক্স বা জলবসন্ত হয়ে থাকলে ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস শিনগ্লেস হিসেবে সক্রিয় হওয়ার পূর্বে কয়েক দশক ধরে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল শিঙ্গেলস ফাউন্ডেশন অনুসারে, ‘লোকজন প্রায়ক্ষেত্রে এ রোগের উপসর্গকে অন্য রোগের মনে করে ভুল করে।’ ডা. লিগরেস্টিক বলেন, ‘যদি আপনার পেটের বাম পাশে ব্যথার সঙ্গে ত্বকের উপসর্গ যেমন- র‍্যাশ, অসাড়তা অথবা জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে আপনার শিনগ্লেস হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য আপনার চিকিৎসক টেস্ট করবেন।’


* অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম


ব্লু শিল্ড অব মিশিগানের ব্লু ক্রসের ফিজিশিয়ান কনসালট্যান্ট জিনা লাইনেম বলেন, ‘অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম বা মহাধমনীয় অ্যানিউরিজম একটি ভীতিপ্রদ রোগ, কারণ মহাধমনী হলো একটি প্রধান রক্তনালী যা শরীরে রক্ত সরবরাহ করে।’ অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম হচ্ছে মহাধমনীর কোনো প্রাচীর স্ফীত হওয়া এবং এটি প্রায়ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ ব্যতীত ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি ফেটে গেলে জীবন সংশয় হতে পারে। ডা. লাইনেম বলেন, ‘অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কিছু লোক নাভির কাছাকাছি স্পন্দন অথবা পেটে বা পেটের পাশে অনবরত ব্যথা কিংবা পিঠে ব্যথা অনুভব করতে পারে।’ সোসাইটি ফর ভাস্কুলার সার্জারি অনুসারে, ‘প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ২০০,০০০ লোকের মধ্যে অ্যাবডোমিনাল অ্যাওরটিক অ্যানিউরিজম নির্ণীত হয়।’ ডা. লাইনেম বলেন, ‘যদি আপনার এসব উপসর্গের যেকোনো একটি থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।’


* বদহজম


বদহজম হলে পেটে অস্বস্তি অনুভূত হয়, খাওয়ার পর পেট ভরা মনে হয়, ব্লোটিং বা পেটফাঁপা হয়, অন্ত্রে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয় এবং ঢেকুর ওঠে। ডা. লাইনেম বলেন, ‘বদহজমকে ডিসপেপসিয়াও বলে যা ডায়েট, উদ্বিগ্নতা, ওষুধের প্রতি প্রতিক্রিয়া, প্রেগন্যান্সি অথবা রোগের কারণে হতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বদহজমের চিকিৎসা করতে অনেক রকম ওভার-দ্য-কাউন্টার মেডিসিন পাওয়া যায়, কিন্তু প্রায়ক্ষেত্রে আপনার ডায়েট মূল্যায়ন ও পরিবর্তন করা হচ্ছে সর্বাধিক কার্যকরী উপায়।’


* ওভারিয়ান সিস্ট


ডিম্বাশয়ের অবস্থান হলো পেটের নিম্নভাগে জরায়ুর উভয়পাশে। কোনো কোনো নারীর ডিম্বাশয়ে ওভারিয়ান সিস্ট বা তরলপূর্ণ থলে বিকশিত হয়ে থাকে, কিন্তু এসব সিস্ট সাধারণত ব্যথাবিহীন এবং নিজে নিজে চলে যায়। ডা. লাইনেম বলেন, ‘অনেক নারী বুঝতেই পারে না যে তাদের মধ্যে কোনো ওভারিয়ান সিস্ট রয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পেলভিক পেইন বা শ্রোণীতে ব্যথা হতে পারে।’ যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং সেই সঙ্গে জ্বর, মাথা ঘোরা কিংবা দ্রুত শ্বাসক্রিয়া চলে, তাহলে তা ফেটে যাওয়া সিস্ট বা ওভারিয়ান টরশন (ডিম্বাশয়ের মোচড় খাওয়া) নির্দেশ করতে পারে এবং উভয়ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন হবে। ওভারিয়ান সিস্ট প্রতিরোধের উপায় না থাকলেও নিয়মিত পেলভিক পরীক্ষার সময় অথবা আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এটি নির্ণীত হতে পারে।


* কিডনিতে পাথর


ডা. লাইনেম বলেন, ‘কিডনিতে কঠিন খনিজ পদার্থ পুঞ্জীভূত হয়ে পাথর সৃষ্টি হয়।’ কিডনি পাথরের লক্ষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পেট ব্যথা ছাড়াও আপনি প্রস্রাবসংক্রান্ত উপসর্গ লক্ষ্য করতে পারেন, যেমন- মূত্রত্যাগে অস্বস্তি, বিবর্ণ প্রস্রাব, প্রস্রাবের বাজে গন্ধ অথবা ঘনঘন মূত্রাশয় খালি করার প্রয়োজন দেখা দেওয়া।’ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন অনুসারে, পর্যাপ্ত পানি পান না করা, অত্যধিক বা অল্প ব্যায়াম, স্থূলতা, ওজন হ্রাসের সার্জারি অথবা অত্যধিক লবণ বা চিনি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হয়। ডা. লাইনেম বলেন, ‘কিডনি পাথরের ব্যথা প্রতিরোধ করা এবং দূর করার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড থাকা।’


* পেটস্থ পেশীতে টান লাগা


উত্তোলন করা, মোচড় খাওয়া, অত্যধিক ওটা-বসা করা অথবা পেটের পেশীর ব্যায়াম ক্রাঞ্চ অনুশীলন করা এবং এমনকি কাশি বা হাঁচির কারণেও পেটের পেশীতে টান পড়তে পারে। ডা. লাইনেম বলেন, ‘পেটের পেশীতে টান লাগার সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে শরীরকে অত্যধিক প্রসারিত করা অথবা অত্যধিক ব্যায়াম করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটি ক্র্যাম্প বা খিঁচুনির মতো অনুভূত হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘টান লাগা পেশী রিকভার করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে বিশ্রাম নেওয়া এবং আরামের জন্য কোল্ড প্যাক প্রয়োগ করা।’


* পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ


পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (পিআইডি) হচ্ছে কোনো নারীর পেলভিক অর্গানের সংক্রমণ ও প্রদাহ। জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা গর্ভনালী,  ডিম্বাশয় এবং সারভিক্স পেলভিক অর্গানের অন্তর্ভুক্ত। ডা. লাইনেম বলেন, ‘আপনি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করতে পারেন।’ যৌনক্রিয়ায় সক্রিয় ২৫ বছরের কম বয়সের নারীরা পিআইডির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অনুসারে, ‘প্রায়ক্ষেত্রে চিকিৎসা করা হয়নি এমন যৌনবাহিত রোগের কারণে পিআইডি হয়ে থাকে এবং আটজন নারীর মধ্যে একজনের প্রেগন্যান্ট হতে সমস্যা হয়।’ ডা. লাইনেম বলেন, ‘পিআইডি কোনো উপসর্গ প্রকাশ না করতে পারে, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে এ রোগের কারণে পেটে বা শ্রোণীতে ব্যথা, জ্বর, যোনি থেকে তরল নির্গত, মূত্রত্যাগে ব্যথা অথবা যৌনসংগমে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।’


* গ্যাস


ঢেকুর ওঠা, পৌষ্টিকনালীতে গ্যাস জমা হওয়া, পেট ফাঁপা হওয়া এবং পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হওয়া হচ্ছে গ্যাসের উপসর্গ- যা হজম প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ। ডা. লাইনেম বলেন, ‘গ্যাস সাধারণত ব্যথার উদ্রেক করে না, কিন্তু এটি বিরক্তিকর ও বিব্রতকর।’ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাতাস গ্রহণে (চুয়িংগাম থেকে অথবা অতি দ্রুত খাওয়া বা পানের মাধ্যমে) কিংবা বৃহদান্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক গ্যাসপ্রবণ খাবার ভাঙনে গ্যাস হয়ে থাকে। ডা. লাইমেন বলেন, ‘প্রায়ক্ষেত্রে গ্যাস বৃদ্ধির জন্য ডায়েট দায়ী।’ সেলিয়াক রোগ, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম অথবা ল্যাকটোজ বা ফ্রুকটোজ ইনটলার‍্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকেরা গ্যাস অভিজ্ঞতার সম্মুখীন বেশি হয়।’


* হার্নিয়া


ডা. লাইনেম বলেন, ‘হার্নিয়ার সর্বাধিক স্পষ্ট উপসর্গ হচ্ছে আপনার পেটে স্ফীতি বা লাম্প।’ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক অনুসারে, ‘কয়েক প্রকারের হার্নিয়া রয়েছে, কিন্তু সর্বাধিক কমন ধরনটি কুঁচকিসংক্রান্ত: এক্ষেত্রে অন্ত্র পেটের প্রাচীর বা কুঁচকি ভেদ করে বেরিয়ে পড়ে। আপনি স্ফীতি বা লাম্প পুশ করতে সক্ষম হবেন অথবা আপনি শায়িত হলে এটি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, কিন্তু বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- কাঁদা, হাসা, কাশা অথবা শারীরিক কাজের সময় এটি বের হয়ে যেতে পারে এবং তা বেদনাদায়ক হতে পারে। আপনার হার্নিয়া থাকলে আপনি নিস্তেজ ব্যথা অনুভব করবেন এবং কোনোকিছু উত্তোলন করলে ব্যথা পাবেন। ডা. লাইনেম বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত, আপনার সার্জারি প্রয়োজন হতেও পারে নাও হতে পারে।’


* আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা


ডা. লাইমেন বলেন, ‘এটি আপনার ক্ষুদ্রান্ত্র বা বৃহদান্ত্রের আংশিক বা সম্পূর্ণ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যা হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।’ এর কমন কারণ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু যা সার্জারি, হার্নিয়া এবং টিউমারের কারণে হয়ে থাকে। আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতার উপসর্গের মধ্যে আছে ব্যথা, পেটফাঁপা এবং ক্ষুধা হ্রাস। ডা. লাইমেন বলেন, ‘আন্ত্রিক প্রতিবন্ধতার উৎস ও তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে, কিন্তু প্রতিবন্ধকতা এমনও তীব্র হতে পারে যে, যে কারণে হাসপাতালে অবস্থান করা অথবা সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে, তাই কোনো গ্যাস বা মল নির্গত না হলে অবিলম্বে মেডিক্যাল সেবা অনুসন্ধান করুন।’ যদি আপনি চিকিৎসা না করেন, আপনার অন্ত্র ছিঁড়ে যেতে পারে এবং প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্টরাইজিংব


তাই আপনার উচিত হবে কোন লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান। এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ