وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ اۤدَمَ حَظَّهٗ مِنْ الزِّنَا أَدْرَكَ ذلِكَ لَا مَحَالَةَ فَزِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ وَزِنَا اللِّسَانِ الْمَنْطِقُ وَالنَّفْسُ تَمَنّى وَتَشْتَهِي وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذلِكَ وَيُكَذِّبُهٗ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ قَالَ : كُتِبَ عَلَى ابْنِ اۤدَمَ نَصِيْبُهٗ مِنَ الزِّنَا مُدْرِكٌ ذلِكَ لَا مَحَالَةَ الْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوى وَيَتَمَنّى وَيُصَدِّقُ ذلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهٗ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: মহান আল্লাহ তা'আলা আদাম সন্তানের জন্য তার ব্যভিচারের অংশ লিখে রেখেছেন, সে তা নিশ্চয়ই করবে। চোখের ব্যভিচার হল দেখা, জিহবার ব্যভিচার কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)। আর মন চায় ও আকাঙ্ক্ষা করে এবং গুপ্তাঙ্গ তাকে সত্য বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। [১] কিন্তু সহীহ মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, আদাম সস্তানের জন্য তাকদীরে যিনার অংশ যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছে, সে ততটুকু অবশ্যই পাবে। দুই চোখের যিনা তাকানো, কানের যিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের যিনা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের যিনা (বেগানা নারীকে) স্পর্শ করা আর পায়ের যিনা ব্যভিচারের উদ্দেশে অগ্রসর হওয়া এবং মনের যিনা হল চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। আর গুপ্তাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। →রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
বেগানা রমনী যদি হঠাৎ হাত ধরেই ফেলে তাহলে প্রথমেই দৃষ্টিকে সংযত রাখতে হবে। অবশ্য সকলের উচিৎ, বেগানা নারীর স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করা। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৩১) কেননা, বেগানা মহিলার প্রতি তাকিয়ে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেছেন, বিশ্বাসীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের যৌন অঙ্গকে সাবধানে সংযত রাখে, এটিই তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। ওরা যা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। (নূরঃ ৩০) বলা হয়েছে যে, মহিলা 'স্পর্শ করা' হালাল নয়, তাকে স্পর্শ করার চেয়ে তোমাদের কারো মাথায় লোহার ছুঁচ গেঁথে যাওয়া অনেক ভালো। (ত্বাবারানী, সহীহুল জামে ৫০৪৫)