আমি গত দুই মাস আগে কোনো এক দূঘটনায়  ৫০ গ্রাম এর মতো লবন আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেয়েছিলাম । এখন কি কোনো ক্ষতি হবে?  এখন কি করা উচিৎ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

*বেশি লবণ খেলে শরীরের যে ধরনের ক্ষতি হয়: ১. বেশি পানি পিপাসা: বেশি লবণ খেলে পিপাসা বাড়ে। কারণ এটি দেহের কোষে তরলের ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা করে। এতে বেশি পিপাসা পায় এবং পানি পানের ইচ্ছে হয়। আর পানি যেমন শরীরের জন্য উপকারি তেমনি অতিরিক্ত পানি পান কিডনিতে চাপ তৈরি করে। ২. হাত ও পায়ে ফোলাভাব: বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কখনো কখনো হাত ও পায়ে পানি জমায়। এর জন্য ফোলা ভাব হয়। এটি কিডনি রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকির কারণ। ৩. লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে: বেশি লবণ খেলে আরো বেশি লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে তৈরি হয়। যেটি পুনরায় সমস্যা তৈরি করে। এতে কম লবণ দেওয়া খাবারগুলো আর স্বাদ লাগে না। এ রকম হলেও বোঝায় যায় আপনি অতিরিক্ত লবণ খাচ্ছেন। ৪. উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অতিরিক্ত লবণ খেতে নিষেধ করা হয়। কারণ এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি ফেইলুরের মতো সমস্যা হতে পারে। ৫. হাড় দুর্বল করে: বেশি মাত্রায় লবণ খেলে হাড়ের ক্যালসিয়াম প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এতে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি মাসিক বন্ধের পর, যখন নারীদের হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে যায়, তখন বেশি লবণ খাওয়া পরিহার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তথ্যসূত্র: boldsky.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর দিক অতিরিক্ত লবণ শরীরে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ানো, হাড়কে দুর্বল করে দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। লবণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল পানি ধরে রাখা। ফলে শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমে যায়। বেরোতে পারে না। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর মতে, এই অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার মাধ্যমে লবণ উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যা ক্ষতিকর। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেইন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কিডনী মূত্র তৈরির মাধ্যমে অনবরত বাড়তি লবণ শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু শিশুরা বিশেষত চার মাস পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশী লবণ গ্রহণে করলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কেননা, শিশুদের কিডনী কর্মক্ষম হয়ে ওঠে না তখনও পর্যন্ত। তাই সর্তকতা প্রয়োজন, শিশুদের খাবারে কোনভাবেই যাতে লবণ বেশি না হয়। এই বাড়তি লবণ শরীরে জমে শিশুর কিডনী, লিভার এবং মস্কিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দেয়। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে। ফলে জ্ঞানসম্পর্কীয় ফাংশনগুলোতে প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে হার্টের ঝুঁকি বাড়ায়। পাকস্থলির ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে বাড়তি লবণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

লবন বেশি হেলে হ্মতি দিক,,,রক্ত চাপ বেশি হয়,,, মস্তিষ্ক হ্মতি হয়....      

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার লবণ খাওয়াটা একটা দুর্ঘটনা৷ আর সেটাা একবারই ঘটেছে৷ এতে তাৎক্ষণিক কোন ক্ষতি যদি না হয়ে থাকে তাহলে সেই একবার খাওয়ার কারণে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না৷ তবে যদি কেউ অধিক লবণ খাওয়ায় অভ্যস্ত হয় তাহলে তার নিম্নের ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে-

অধিক লবণ গ্রহণ স্বাস্থ্যের ওপর যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক), হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্বের যেসব জনগোষ্ঠী লবণ কম খায় তাদের শতকরা ৮০ ভাগের উচ্চ রক্তচাপ থাকে না। পক্ষান্তরে যেসব জায়গায় মানুষ লবণ বেশি গ্রহণ করে, যেমন জাপানে উচ্চ রক্তচাপ মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করেছে; সেখানকার প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় অর্ধেকই উচ্চ রক্তচাপের শিকার। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও অস্টিওপোরোসিস, পাকস্থলির ক্যান্সার, শারীরিক স্থূলতা হতে পারে এবং অ্যাজমা থাকলে এর উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অতিরিক্ত লবণ খাদ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়।লবনাক্ত খাদ্যাভ্যাস এর কারনে উচ্চ রক্তচাপের ফলে বিভিন্ন হৃদরোগের সৃষ্টি হতে পারে।যেসকল ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম শরীরের দ্বারা ব্যবহৃত হয় না, তা মল-মূত্রের মাধ্যমে ত্যাগ করা হয়। যার ফলে কিডনি পরিস্রাবণ এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। রক্তচাপ ও রক্ত ভলিউম আপনার কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।অতিরিক্ত লবণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই, খাবার সময় আলাদা লবণ না খাওয়া ভালো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Zahid 420

Call

বেশি লবণ খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে । ১.হার্টে সমস্যা ২.রক্ত শূন্যতা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ