শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

খারাপ দিক:

  • এতে আপনার কানের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
ভালো দিক:
  • আপনি যদি অনেক লোকের মাঝে গান শোনেন এতে করে যদি আপনি ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনের তবে অন্যদের ডিস্টার্ব হবে না।
  • আপনার পছন্দমতো গান শুনতে পারবেন।   
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Saiyankhan

Call

বেশি  ইরাফোন ব্যাবহার করলে কানে সমস্যা হতে পারে খারাপ দিখ আর ভাল দিক হল আপনি ওয়াজ শুনতে  পারেন ভালো কিছু শুনতে পারেন            

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার খারাপ দিক:

১) শ্রবণ জটিলতা:- যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে এবং এমনকি আপনি চিরতরে আপনার কানের কিছু ক্ষমতা হারাতে পারেন। তাই আপনি যদি হেডফোনের ব্যবহার করতেই চান, তবে আপনার কানের কিছু বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না এবং কখোনই উচ্চ ভলিউমে গান শুনবেন না।


২) কানের ইনফেকশন:- আপনার হেডফোন বা ইয়ারফোন কি আপনার ব্যক্তিগত? আপনি কি অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিচ্ছেন? ওয়েল, আমরা সব সময় একবার আমাদের বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে আমাদের হেডফোন এবং ইয়ারফোন ভাগ করে শুনি। এই ভাগ করা সহজেই কানে সংক্রমণের ফলে হতে পারে। বিভিন্ন মানুষের কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আপনার হেডফোন মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে। তাই পরবর্তী সময়ে আপনি যখন আপনার ইয়ারফোন বা হেডফোন শেয়ার করবেন, তখন নিশ্চিত করুন যে আপনি তাদের স্যানিটাইজ করেছেন বা পরিষ্কার করে নিয়েছেন।


৩) বাতাস প্রবেশে বাধা:- বর্তমান সময়ে হেডফোন কোম্পানিগুলো তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর দিকে ঠিকই নজর দিয়েছে। যার ফলে আপনি খুব ভাল কোয়ালিটির গান শুনতে পারছেন। কিন্তু আপনি আপনার কানে এমন স্থানে হেডফোন লাগান যাতে করে আপনার কানের ছিদ্র পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে কোন বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা (আপনি হয়ত বা জানেন কানে বাতাস প্রবেশ করা কতটা জরুরি। যদি না জানেন তাহলে টিউমেন্ট করুন)। যার ফলে আপনার কানে ইনফেকশন, টিটিনাস, শ্রবন জটিলতার রিস্ক থেকেই যায়।


৪) সাময়িক বধির:- এক গবেষনায় দেখা গেছে যারা অনেক সময় ধরে উচ্চ ভলিউমে গান শুনেন তারা হেডফোন খোলার পরেও অনেক্ষন ভালো ভাবে কানে শোনেনা। যদি কেউ ১৫ মিনিটের জন্য ১০০ ডেসিবেলের বেশি শোনে, তবে সে বধির হয়ে যেতে পারে। এটি সাময়িক হলেও এর ক্ষতি কিন্তু অনেক। এমন করতে করতে কবে যে আপনি চিরতরে বধির হয়ে জাবেন তা আপনি নিজেও জানেন না।


৫) কানে ব্যাথা:- যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারনত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষন।


৬) মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব:- হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর জারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো অত্যাধিক ঝুকিতে ভুগেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোণ খুব বাজে ভাবে আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।


৭) হেডফোনের কারনে দুর্ঘটনা:- সম্প্রতি, হেডফোনের ব্যবহারের ফলে রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং এমনকি ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। হেডফোন কানে দিয়ে রাস্তায় হাটার সময় তারা অনেক আওাজ শুনতে পায়না এইভাবে কিছু দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য অনেক সময় বিপদ আসে। আবার দেখা যায় তাকে বাচানোর জন্য যে ছুটে আসে দুর্ভাগ্যবশত সে নিজেই মারা পরে। এভাবেই আপনার জন্য অন্য মানুষ বিপদে পরতে পারে। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করার কাজে ব্যাবহৃত হয়, জীবনকে ধবংস করার জন্য নয়।

ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার ভালো দিক:

১।আপনি আপনার মনের মতো গান ইয়ারফোন দিয়ে শুনতে পারবেন।

২।বিনোদন হবে।

৩।নিরবে শোনা যায় বলে আশেপাশের মানুষ বিরক্ত হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ