পেশাব পান করা ইসলামী শরীয়তে হারাম৷ আর হারাম কাজে কবীরা গুনাহ হয়৷ আর একটা কবীরা গুনাহই জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট৷ তবে যদি তওবা করা হয় তাহলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমার অঙ্গীকার করেছেন৷ আর শরীরের খারাপ ও দুষিত পদার্থ পেশাবের আকারে নির্গত হয়৷ এজন্য পেশাব পান করা এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ এটা একটা কুরুচিপূর্ণ কাজও বটে৷
প্রসাব পান করা হারাম।কারণ,হাদিসে প্রসাব থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।অধিকাংশ কবরের আজাব হয় প্রসাব থেকে পবিত্র না থাকার কারণে।এছাড়া,বীর্য খাওয়া হারাম।স্বামী স্ত্রীর উভয়ের যৌনাঙ্গ চোষা হারাম। বিজ্ঞানের দিক থেকে দেখা গেলে,প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরের অসংখ্যা জীবাণু ঘাম মলমুত্র এর মাধ্যমে বের হয়ে যায়।মুত্র পান করলে শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।এবং হারাম জিনিস খাওয়ার ফলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।প্রসাব পায়খানা থেকে সর্বদা পাক পবিত্র থাকা আবশ্যক ও উত্তম কাজ।প্রসাব ও পায়খানার পর ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নত।এতদসত্বে তা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা কোনো জিনিসকে হারাম ঘোষণা করেছেন, তা হচ্ছে সে জিনিসের নিকৃষ্টতা ও ক্ষতিকারতার কারনে। আর তা সব মুসলমানকেই বিস্তারিতভাবে জানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কেননা সেসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান সমানভাবে সকলেরই থাকে না। হয়ত কেউ কেউ জানতে পারে আর অনেকেরই তা অজানা থেকে যায়। পবিত্র কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের জন্যে কি কি হালাল করা হয়েছে। হে নবী! আপনি বলে দিন, তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে সে সব জিনিস যা পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও উত্তম উৎকৃষ্ট। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। (আরাফঃ ১৫৭) জনাব! প্রসাব অপবিত্র তা কারোর অজানা নয়। তাই প্রসাব পান যায়েজ নয়। কেউ যদি শখের বশত নিজের বা অন্য কারো প্রসাব পান করে তবে সে জাহান্নামি হবে কি হবে না। তা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এটাও পাপ কাজ এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতঃপর কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তার জন্য খাওয়া বৈধ হবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।