শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

*মাথার লোমকূপ সমূহতে ময়লা জমে ও ছত্রাকের আবির্ভাবের কারণে হয়ে থাকে। * যে সব কারণে খুশকি হয় তা নিম্নে দেওয়া হলো: ১) মাথার ত্বকের শুষ্কভাবের কারণে খুশকি হয়ে তাকে। শীতকালে যখন আবহাওয়াতে আর্দ্রতা কম থাকে তখন ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে ঘরের অভ্যন্তরের ঠান্ডা বাতাস এবং ঘরের বাইরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার অসামাঞ্জস্যাতার সৃষ্টি হয় এবং সে কারণে গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীথকালে খুশকি হয়ে থাকে। ২) কোন ব্যক্তি যদি দিনের বেলায় খুব অল্পবারের জন্য তার চূল আচড়ান তবে তার মাথায় মৃত ছোট ছোট চামড়া গুলি জমতে থাকে এবং খুশকি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ৩) যাদের ত্বক এলার্জেটিক তাদের খুশকির প্রবনতা বেশী। সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি ও ত্বক এক অপরের সহিত বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে খুশকি উৎপাদন করতে পারে।[৩] ৪) পর্যাপ্ত পরিমান শ্যাম্পু না করলে মাথার ত্বক অপরিষ্কার হয়ে পড়ে যা থেকে খুসকির উৎপত্তি হতে পারে। ৫) খাদ্যভাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়। ৬) ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হতে পারে। মূলত এই ছত্রাকটি সকলের ত্বকেই কম আর বেশি থাকে। এটি সাধারনত কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে যখন বেশি হয়ে যায় তখন তা ত্বক থেকে তেল শুষে নেয় এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। ফলে অতিরিক্ত ত্বকীয় কোষ উৎপাদিত হতে থাকে এবং বেশী সংখ্যাক কোষ মৃত হতে থাকে এবং কোষ গুলি মারা গেলে তা চুলের তেলের সাথে মিশে খুশকির সৃষ্টি করে।[৪] ৭) যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তাদের মধ্যে খুশকির প্রবনতা বেশী। ৮) কিছু বিশেষ রোগ যেমন পার্কিন্সন, হৃদরোগ, স্টোক খুশকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ৯) ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানির ফলে যে ঔষধ ব্যবহার করা হয় সে ঔষধের পত্রিক্রিয়ায় খুশকির উদ্ভব হতে পারে। ১০) যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি হয়ে থাকে। ১১) কোন পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হলে সেই পানি যদি কেউ ব্যবহার করেন তবে তার খুশকি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। ১২) যারা অপেক্ষাকৃত কম গোসল করেন তাদের মাথা থেকে ময়লা কম পরিষ্কার হয় এবং মরা চামড়া জমে খুশকি হতে পারে। ১৩) যাদের জটিল রোগ যেমন এইচ.আই.ভি আছে তাদের খুশকি হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ